দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডির বাড়িতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:০৬ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কিও হি’র বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে সিউলে তার ব্যক্তিগত বাসায় এই তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন সংস্থার বিশেষ উপদেষ্টা মিন জুং কি-এর নেতৃত্বে একটি দল কিম কিও হি’র বাসা ও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কোভানা কন্টেন্টস-এর অফিসে অভিযান চালায়। কিম কিও হি প্রতিষ্ঠানটির মালিক এবং অতীতে প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোভানা কন্টেন্টসের শীর্ষ পদে ছিলেন, যেদিন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে পদচ্যুত ঘোষণা করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থার উপদেষ্টা মিন জুং কি অভিযোগ করেন, কম্বোডিয়া ও মঙ্গোলিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন প্রকল্পে প্রভাব বিস্তারের অনুমতির বিনিময়ে কিম কিও হি দামি উপহার এবং ১৫০ কোটি ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
এই তদন্ত এমন সময় সামনে এলো, যখন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বছর ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইয়োল সামরিক শাসন জারির সিদ্ধান্ত নেন, দাবি করে যে সরকারের ভেতরে ও সংসদে উত্তর কোরিয়ার এজেন্ট সক্রিয় রয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই তিনি সংসদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আদেশটি প্রত্যাহার করে নেন।
তবে সেই বিতর্কের রেশ ধরে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটে। গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ৪ এপ্রিল সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদচ্যুত হন ইউন সুক ইয়োল। বর্তমানে তিনি একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি