ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বে নিজের ফোন নম্বরই বদলে ফেললেন ইলন মাস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৭ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

দুই দাপুটে ব্যক্তিত্ব—একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যজন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। একসময় যাদের বন্ধুত্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, বর্তমানে তারা দ্বন্দ্বে জড়ানো দুই প্রতিপক্ষ। এবার সেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে মাস্কের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে নিজের ফোন নম্বরই পরিবর্তন করেছেন ইলন মাস্ক। বিষয়টি তিনি নিজেই টের পান মাস্ককে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করার সময়।
নিউইয়র্ক পোস্ট এবং দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পিকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আমি ইলন মাস্ককে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে একটি মেসেজ পাঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখি, সে নম্বর আর কাজ করছে না। পরে জানতে পারি, মাস্ক তার নম্বরই বদলে ফেলেছেন।”
প্রসঙ্গত, ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত একটি কর ও বাজেট বিল নিয়ে শুরু হয় ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব। বিতর্কিত এই বিলটি ধনীদের বড় অঙ্কের কর ছাড় দিলেও, সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট আনে। শুরু থেকেই বিলটির বিরোধিতা করে আসছিলেন ইলন মাস্ক।
বিলটি পাস হওয়ার পরপরই মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি নতুন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে যাচ্ছেন—নাম দিয়েছেন ‘নিউ আমেরিকা পার্টি’। এই ঘোষণার পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে গড়ায়। স্পিকার জনসনও জানিয়েছেন, বিল পাশ হওয়ার পর থেকে মাস্ক আর ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাস্কের ফোন নম্বর বদল শুধুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি তার স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান এবং ট্রাম্পবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
যখন প্রযুক্তি জায়ান্টদের রাজনৈতিক প্রভাব দিন দিন বাড়ছে, তখন ট্রাম্প-মাস্ক বিরোধ আগামী মার্কিন রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে—এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।