আদালতও শুনলেন না নেতানিয়াহুর অনুরোধ


saurav/image_48494_1702653205.jpg

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন জেরুজালেমের একটি জেলা আদালত। রাজ্যের অ্যাটর্নি অফিস এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করার পর এমন সিদ্ধান্ত নেন আদালত।

ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর দেশের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলে নেতানিয়াহু দুই সপ্তাহের জন্য শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে আদালত তার এই আবেদনকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন। এ খবর জানায় দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নেতানিয়াহুর আইনজীবী আদালতে এই আবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রীকে দেশের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত জরুরি বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হচ্ছে। তাই আগামী দুই সপ্তাহের শুনানি স্থগিত করা হোক।

শুক্রবার (২৭ জুন) প্রকাশিত এক রায়ে জেরুজালেম জেলা আদালত জানান, আবেদনকারীর অনুরোধের পক্ষে কোনো বিস্তারিত যৌক্তিকতা বা ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই শুনানি বাতিলের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব হচ্ছে না।

দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান এই মামলাকে একটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিচার অবিলম্বে বাতিল করা উচিত, অথবা এই মহান বীরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে। এই সংঘাতে সমর্থনের জন্য নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় নেতানিয়াহু শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। তার সমর্থকদের মতে, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যত মামলা ইসারয়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ও তার স্ত্রী সারা রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কয়েকজন শতকোটিপতির কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যের বিলাসবহুল সামগ্রী দামি চুরুট, গয়না ও শ্যাম্পেন উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

অন্য দুটি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে নিজের পক্ষে অনুকূল সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রভাব খাটানোর চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।

২০২২ সালের শেষের দিকে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর নেতানিয়াহুর সরকার বিচার বিভাগীয় সংস্কারের একটি ব্যাপক পরিকল্পনা প্রস্তাব করে।

সমালোচকদের মতে, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো আদালতকে দুর্বল করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×