ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান


cvxhtrsdtrdutsdykdtnnfutrdu.jpg

গাজা উপত্যকায় মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (১ জুন) ভোরে দখলদার বাহিনীর এই তীব্র গুলিবর্ষণে আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসিতে মানবিক সাহায্যের জন্য আসা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৮ জনের মৃতদেহ খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে এবং ২১ জনকে রেড ক্রস ফিল্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি তাজা গুলিবর্ষণে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজায় ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বরতার ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকটে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে, পুরো গাজা অঞ্চল দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ক্ষুধার্ত মানুষদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান হামাসের

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, মানবিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষমাণ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য সংস্থাটি একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করুক।

বিবৃতিতে হামাস বলেছে, 'এই গণহত্যা (ইসরায়েলি) দখলদারিত্বের ফ্যাসিবাদী প্রকৃতি এবং এই সাহায্য ব্যবস্থার পেছনে এর অপরাধমূলক উদ্দেশ্যগুলোকে প্রমাণ করে। নিরীহ ক্ষুধার্ত মানুষকে হত্যা, অপমান এবং নির্যাতনের সবচেয়ে জঘন্য রূপ অনুশীলন করতে প্রলুব্ধ করার জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সাহায্য কেন্দ্রগুলোকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আমরা জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করুক এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই পদ্ধতিগত অপরাধের তদন্ত করতে গাজায় প্রবেশ করুক এবং দায়ীদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জবাবদিহি করুক।'

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×