এশিয়ায় সংকট তৈরিতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার


এশিয়ায় সংকট তৈরিতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার

এশিয়ায় ব্যাপক সংকট তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে- এমন অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেঙ্ক। সংবাদ রয়টার্সের।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাশিয়া বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে রাশিয়া চীনকেই সহযোগিতা করবে।’

আন্দ্রেই রুদেঙ্গ বলেছেন,‘ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এক চীনা নীতিতে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা তাইওয়ানের সাথে সামরিক এবং রাজনেতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করেছে ও অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে পিআরসিকে (পিপিল’স রিপাবলিক অব চায়না) উষ্কে দিয়ে এশিয়াতে সংকট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে নেমেছে।’ 

তবে প্রতিবেদনে রুদেঙ্কর পক্ষের নির্দিষ্ট কার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত তাইওয়ানকে সব সময়ই চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে, তাইওয়ান সরকার বরাবরই এ দাবি অস্বীকার করে আসছে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক তৎপরতা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পরিসরে তাইওয়ানের একজন বড় সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। 

রাশিয়া উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুদেঙ্গের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। 

গেল সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানকে ৫৬৭ মিলিয়ন ডলারে সামরিক সহায়তার অনুমোদন দেন। যার সমালোচনা করে রাশিয়া। কারণ, এশিয়ার ইস্যুতে রাশিয়া চীনের পাশে রয়েছে। 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে পুরোদমে অভিযান শুরু করে, তখন চীন সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময়ে দুই দেশ জানায়, তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোন সীমা-পরিসীমা নেই। 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×