ইউটিউব-গুগলের বিরুদ্ধে মামলা ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:১৮ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বলিউডের তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন ইউটিউব ও এর মূল প্রতিষ্ঠান গুগলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি মানহানিকর ডিপফেক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ তুলে। এই মামলা ঘিরে বলিউড থেকে প্রযুক্তি জগত পর্যন্ত শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই দম্পতি অভিযোগ করেছেন যে ইউটিউবে প্রচারিত একাধিক ভিডিওতে তাদের ছবি ও কণ্ঠস্বরকে বিকৃত করে এমন সব কনটেন্ট বানানো হয়েছে, যা মিথ্যা, যৌন উস্কানিমূলক এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বিষয়গুলো কেবল তাদের ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ন করছে না, বরং তাদের গোপনীয়তার মৌলিক অধিকারকেও চরমভাবে লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেছেন তারা।
আদালতে জমা দেওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে, ইউটিউবে এমন শত শত ভিডিও এবং স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে যেখানে এআই দিয়ে তৈরি করা কনটেন্টে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়াকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা তাদের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। উদাহরণ হিসেবে মামলায় উল্লেখ রয়েছে এমন ভিডিওর, যেখানে “অভিষেক বচ্চন হঠাৎ কোনো চলচ্চিত্র অভিনেত্রীকে চুম্বন করছেন” বা “ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং সালমান খান একসঙ্গে ডিনার করছেন”।
এই তারকা দম্পতি ইউটিউব ও গুগলের বিরুদ্ধে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। পাশাপাশি, এই ধরনের ডিপফেক ভিডিও আপলোড ও ছড়ানোর ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়েছেন আদালতের কাছে।
তাদের মতে, “এই জাতীয় ভিডিওগুলো শুধু মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে না, এটি আমাদের ভাবমূর্তি এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপরও সরাসরি আঘাত।”
এই ঘটনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্নে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায় প্রযুক্তি দানব গুগল ও এর মালিকানাধীন ইউটিউবকে কতটা দায়বদ্ধ করে তোলে।