আশ্বিনের শেষে পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা, হালকা শীতের আমেজ


আশ্বিনের শেষে পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা, হালকা শীতের আমেজ

আশ্বিনের শেষপ্রান্তে এসে উত্তরবঙ্গের আকাশে ভেসে এসেছে শীতের পূর্বাভাস। হিমালয়ের দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশা মিলিয়ে পঞ্চগড় যেন আগাম শীতের স্বাদ পেতে শুরু করেছে। দিনের শুরুতে কুয়াশায় মোড়ানো রাস্তাঘাট আর বাতাসের শীতল ছোঁয়ায় জেলাজুড়ে বইছে হালকা শীতের আমেজ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৬টায় দেশের সর্বউত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। ফলে ভোরের সময়টায় বাতাসে ছিল এক ধরনের স্নিগ্ধতা ও ঠাণ্ডা ভাব, যা স্থানীয়দের কাছে শীতের আগমনের ইঙ্গিত হিসেবে ধরা দিয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ছিল ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছিল, তবে মঙ্গলবার সকালে কিছুটা বেশি হ্রাস পাওয়ায় আবহাওয়ার এই পরিবর্তনকে শীতের শুরুর ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাত গভীর হওয়ার পর ও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। তবে আজকের সকাল ছিল একটু ব্যতিক্রম; কুয়াশার সঙ্গে ছিল মৃদু ঠাণ্ডা হাওয়া, যা শীতের উপস্থিতি আরও বেশি করে অনুভব করিয়েছে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালার বাইরে চোখ ফেলতেই ধোঁয়াশার মতো কুয়াশার আবরণ চোখে পড়ছে। অনেকেই এই আবহ উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়। কেউ ভোরের হাওয়া গায়ে মেখে হাঁটছেন, আবার কেউ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কাটাচ্ছেন সময়। আবহাওয়ার এই রূপ বদলের সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধদের অনেকেই এখনই হালকা গরম কাপড় পরতে শুরু করেছেন ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এটি মৌসুমি পরিবর্তনের লক্ষণ। এখন থেকে প্রতিদিন তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমতে পারে।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×