১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু, রুটিন প্রকাশ

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ মে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ মে থেকে শুরু হয়ে ১৮ মে শেষ হবে।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো. আবুল বাশার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি: পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী, পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে। শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না।পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর

৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার (বিসিএস) অনলাইনে আবেদনের নতুন সময়সীমা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন। এ বিসিএসে শূন্য পদে ক্যাডার নিয়োগ পাবেন ৩ হাজার ৪৮৭ জন। গত ২৮ নভেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ৪৭তম বিসিএসের আবেদন অনিবার্যকারণে স্থগিত করে পিএসসি। ১০ ডিসেম্বর থেকে এই আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দিলেও সেটা তখনো কার্যকর না হওয়ায় আবেদন স্থগিত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পিএসসির একটি সূত্র। আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করার পরই অনলাইনে আবেদনের নতুন সময়সীমা জানাল পিএসসি।

এবার প্রকাশ্যে আসল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রশিবির

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার প্রকাশ্যে এসেছে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রশিবির। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কলেজ ও ছাত্রাবাসের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সামনে এল সংগঠনটি। স্মারকলিপি প্রদানকালে ছাত্রশিবিরের নেতারা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক হায়দার মিয়া ও শিক্ষক মণ্ডলীর সম্পাদক অধ্যাপক মিলকি আমাতুন মুগনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনা উপহার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি বায়জিদ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল বান্না জিসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান ফাহিম। স্মারকলিপিতে উল্লেখযোগ্য ২৬টি দাবি উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে- কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন, আধুনিক লাইব্রেরি ও উন্নত ল্যাব স্থাপন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা রক্ষা, শহীদদের স্মরণে ভবন নামকরণ। কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

চট্টগ্রামে ‘আলেম সমাজের ভূমিকা করণীয় বর্জনীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

‘বাংলাদেশের পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে আকীদায়ে আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত প্রচার ও প্রসারে আলেম সমাজের ভূমিকা, করণীয় বর্জনীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ সুলতান আহমদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আছাদিয়া নূরীয়া একাডেমীর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহ্লা দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ শরফুদ্দীন সম্রাট। আলোচক ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদারাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিউর রহমান, আল্লামা হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ সোলাইমান আনছারী। মূল প্রবন্ধ পড়েন মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নু ক ম আকবর হোসাইন, আল্লামা ঈসমাইল নোমানী, মাওলানা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আল আজহারী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম আজহারী, সাংবাদিক আবু তালেব বেলাল, মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আল ক্বাদেরী। মুহাম্মদ নূরুল্লাহ রায়হান খাননের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মাওলানা হাফেজ নেজাম উদ্দিন, মাওলানা আবদুল কাদের সাকিব, মাওলানা মাসুম মোহাম্মদ ইমরান, রেজাউল করিম, মাওলানা নুরুল মোস্তফা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘কুরআন সুন্নাহর আলোকে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। ধমীর্য় মূল্যবোধের অবক্ষয় ও নৈতিকতার সংকটের বর্তমান এ দুর্যোগ সময়ে বিপর্যস্ত, বিধ্বস্থ ও অশান্ত অবস্থা থেকে আপামর জনগণকে বাঁচাতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অকৃত্রিম ও বিশুদ্ধ আক্বীদা, ধ্যান-ধারণা, লালন-পালন ও ধারণে এবং কুরআন সুন্নাহর আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ প্রয়োজন। আম্বিয়া-ই-কিরাম প্রদর্শিত ইসলামের সুফিতাত্ত্বিক গণমুখী দর্শনের আলোকে ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ এবং শিক্ষাধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট ও অনাগত ভবিষ্যত আলিম-ওলামার অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ আলোচনা শেষে গবেষনামূলক মাসিক পত্রিকা আল-ইসতিয়াবের উদ্বোধন করা হয়।

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা: স্নিগ্ধ

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতদের পরিবারের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ স্নিগ্ধ জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিহত ও আহতদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় কাজ চলছে এবং তালিকা প্রস্তুত প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া আসছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো দেশবাসীর কাছে এই আন্দোলনের প্রকৃত নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ হবে বলে জানান তিনি। এর আগে ৩৩ জন আহতের মধ্যে এক লাখ করে ৩৩ লাখ টাকা ও ছয়জন নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ করে ৩০ লাখ টাকা চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থী পাঁচ শিক্ষক বাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেট বডির পাঁচ শিক্ষককে পরবর্তী সভা থেকে আর আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ সভায় তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৮ জন সিন্ডিকেট সদস্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সদস্যরা আর সে সব ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলে পরবর্তী মিটিং থেকে তারা আর আমন্ত্রণ পাবেন না।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে পাঁচজন সদস্যকে আর আহ্বান জানানো হবে না তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রভাষক ক্যাটাগরি থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাহিন মুহিত, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরি থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের আবু মুহাম্মদ আহসান, ডিন ক্যাটাগরি থেকে বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরি থেকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক মাসুদুর রহমান। সিন্ডিকেট বডি থেকে বাদ পড়া এসব শিক্ষক আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাবির সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বডি ল রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাই। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নাইম আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ও ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক তারা আমাদেরকে দুইটি পরামর্শ দিয়েছে।’ ‘প্রথমত, ডিন ও প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পদ ডিন কিংবা প্রভোস্ট পদে যদি আর বহাল না থাকেন, তাহলে তারা যে প্রতিনিধিত্বের কারণে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটি আর থাকছে না। ফলে, তাদেরকে পরবর্তী মিটিং থেকে আমন্ত্রণ না জানালেও আইনগত জটিলতায় পড়তে হবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।’ ‘দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত যারা ছিলেন, তাদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে, তারাও আর তাদের প্রতিনিধিত্বের জায়গায় না থাকায় তাদেরকেও আমন্ত্রণ না জানানোতে কোন জটিলতা থাকল না।’ সাইফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘আইনগতভাবে জটিলতা নিরসন হওয়ার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা এই সিন্ডিকেট মেম্বারদের আগামী কোন মিটিংয়ের আহ্বান বা আমন্ত্রণ জানাব না।’

প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩ শতাংশ শিক্ষকই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। একই সাথে শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা থাকছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করছি আমরা। এখন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিকের বাজেট বাড়ানোটাই সময়ের দাবি।’ রোববার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়েছে, ‘একটি উপজেলার মোট পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা নির্ধারিত থাকবে।’ নারী, পোষ্য ও পুরুষ- এ তিন ধরনের কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আবার চার ধরনের কোটা অনুসরণ করতে হত। সেগুলো হল- এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী দশ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ৩০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঁচ শতাংশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য দশ শতাংশ। এছাড়া, তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে, এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কোটা বাদ দিয়ে বাকি পদগুলোতে শুধু মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। সেটা ৪০ শতাংশের বেশি নয়। এ দিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা-সংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুশাসন রহিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি সাত শতাংশ নিয়োগ কোটার ভিত্তিতে হবে। ফলে, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হবে নাকি জনপ্রশাসনের সবশেষ কোটা বণ্টনের প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। ফলে, আগামীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ মেধা ও সাত শতাংশ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। ২০২৩ সালের ১৪ জুন সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ২১ এপ্রিল প্রথম দফায় প্রকাশ করা হয়। পর দিন সংশোধিত ফল প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়।

বাংলাদেশের সংবিধান অজ্ঞান অবস্থায় আছে

‘সব ক্ষমতার উৎস নয়, মালিক জনগণ। সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দেশের মালিক জনগণ যেন তাকে সরিয়ে দিতে পারে, এমন সুযোগ রাখতে হবে।’ রাষ্ট্রচিন্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘আবুল মনসুর আহমদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণঅভ্যুথান’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তক সলিমুল্লাহ খান এ কথা বলেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সভায় সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অজ্ঞান অবস্থায় আছে। যেটিতে বলা হয়েছে, সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। এখানে হওয়া উচিত ছিল জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। আর এটি না হওয়ার কারণেই প্রতিনিধিত্বের রাজনীতি হচ্ছে। সরকার হয়েছে পাওয়ার অব এটর্নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে আবুল মনসুর আহমেদ কিছু আপত্তি তুলে ধরেছিলেন তার বইয়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সেগুলো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠৈছে। শেখ মুজিব আবুল মনসুরকে সংবিধান সংশোধনের জন্য আহ্বান করেছিলেন। শেখ মুজিব কথা দিতেন কিন্ত কথা রাখতেন না। সংবিধান সংশোধনের কথাও তিনি শতভাগ প্রত্যাখান করেন।’ শেখ হাসিনার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘সংবিধানের সাত নম্বর ধারায় আওয়ামী লীগ সরকার একটি সংশোধন এনেছে যে, কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চাইলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ শাস্তি হাসিনারই প্রাপ্য। সে যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, তার নৈতিক মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। সভায় আলোচক ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরিফ খান ও আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক কবি ইমরান মাহফুজ। সভাপতিত্ব করেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও রাষ্ট্রচিন্তার উপদেষ্টা খ. আলী আর রাজী। সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য তানভীন কায়েস। সভায় মোহাম্মদ শামীম উদ্দীন খান ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চবিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও সময় নষ্ট না করে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পালন করার চেষ্টা করছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের ফলে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে।’ তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য যে পথ দেখিয়েছেন, তা আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, ‘২৪’-এর আন্দোলনেও ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছেন। তাই, গণঅভ্যুথানের ফলে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গঠন এবং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে আমরা কখনো বেঈমানী করতে পারব না। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রত্যককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’ আরিফ খান বলেন, ‘দেশে অনেকগুলো গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২৪’-এর জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কথা বলতে চাই। ৭১ ও ২৪’-র গণঅভ্যুত্থান দুইটায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিল। দুইটায় গণসম্মতিতে হয়েছিল। যে কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গণসম্মতি প্রয়োজন হয়। গণসম্মতি ছাড়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আমাদের রাষ্ট্র বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে দখল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের তরুণরা সেখান থেকে দখলমুক্ত করেছে।’ আবুল মনসুর আহমেদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদ তার রাষ্ট্রচিন্তায় সকলের ধর্মের স্বাধীনতা থাকতে হবে বলেছেন। ৭১ ও ২৪-এ আমাদের সংগ্রাম ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আবুল মনসুর আহমেদও সবসময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে গেছেন। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। বাঙালি মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় কাজ করে গেছেন এ রাজনীতিবিজ্ঞানী।’ ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘আবুল মনসুরের লেখায় উঠে এসেছে। গণতন্ত্রে আমাদের শিক্ষকরা ফেইল করেছে বলেই আমাদের গণতন্ত্র ফেইল করছে। আবুল মনসুর বলেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক সরকার সঠিক পথে চলতে পারে যদি তার নাগরিক সোচ্চার হয়।’’ আমরা যদি সোচ্চার না হই, তাহলে শুধুমাত্র গণজাগরণ বা ২৪-এ আবু সাঈদের জীবন দেয়া পরিবর্তন এনে দিতে পারবে না।’ সভায় ২৪’-এর গণআন্দোলনে শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অবশেষে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর যাচাইয়ে কমিটি গঠন

ঢাকার মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিনূর ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্য (সভাপতি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত একজন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (সদস্য), যুগ্মসচিব (বিশ্ববিদ্যালয়-২ অধিশাখা), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (সদস্য) ও কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন উপসচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত কমিটি গঠন করা হল। সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ পৃথকীকরণের মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির বিষয়ে প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সঙ্গে এ কমিটি সমন্বয়পূর্বক কাজ করবে।’ এর আগে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তিতুমীর কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাই’ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। গেল ১৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। ছয়জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ওই আলোচনায় অংশ নেন।

চার দাবি নিয়ে ঢাবির শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

সরকারি সব চাকরিতে আবেদন ফি কমিয়ে ২০০ টাকা করাসহ চার দফা দাবি মঙ্গলবারের (৩ ডিসেম্বর) মধ্যে পূরণ না হলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে শুধু পিএসসিতে আবেদন ফি কমানোর মাধ্যমে সরকার বৈষম্য করছে। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে, স্বচ্ছ ও গতিশীল নিয়োগ ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে দ্রুত শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের দাবি জানান। পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।’ বিন ইয়ামিন মোল্লা তাদের চার দাবি ও তিন দিনের আল্টিমেটামের কথা তুলে ধরে অভিযোগ করেন, আল্টিমেটাম শেষ হতে চললেও উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না তারা। তাই, হুঁশিয়ারি দেন কঠোর কর্মসূচির।

সাত কলেজের স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময় সূচি প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্থগিত হওয়া দুইটি পরীক্ষার নতুন সময় সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন সূচি অনুযায়ী স্থগিত হওয়া গত ২৬ ও ২৮ নভেম্বরের পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে স্থগিত হওয়া ২৬ ও ২৮ নভেম্বরের পরীক্ষা নতুন সময় সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সূচি অনুযায়ী ২৬ নভেম্বরের পরীক্ষা আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি ও ২৮ নভেম্বরের স্থগিত পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’ বলে রাখা ভাল, সম্প্রতি ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজে বহিরাগতদের হামলার কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়। এ সময় প্রথম ও চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান ছিল।

ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে, সেখানে আমরা যাব না

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে, ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের লক্ষ্যে এই মতবিনিময় করা হয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে চবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান মন্তব্য করতে রাজি হননি। একই প্রশ্নের উত্তরে চবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সেখানে যাইনি। কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ছাত্রশিবির যেসব প্রোগ্রামে থাকবে আমরা সেখানে যাব না।’ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘অনেকে দাবি করছেন, আমরা জুলাই আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর অবদান অস্বীকার করছি। আমরা কখনও কারও অবদান অস্বীকার করিনি। আমরা মনে করি, ছাত্র সংগঠনগুলো পেছনে ছিল বলেই আজকে আমরা সামনে আসতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। একইভাবে সামনেও ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে, খুবই দুঃখ হচ্ছে, আজকে বৃহৎ একটি ছাত্র সংগঠনসহ অন্য ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর উপস্থিত না দেখে। আপনাদের রাগ-অভিমান থাকতে পারে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কিন্তু, আপনারা যদি না আসেন, তাহলে সমাধানের সুযোগ তো তৈরি হচ্ছে না।’ জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়রুল হাসান আরিফ বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইটি বিষয়ে কনসার্ন। প্রথমটি হচ্ছে, জুলাই গণহত্যার বিচার। আমরা লক্ষ্য করছি, জুলাইয়ের বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না। আবার আমরা মবেরও পক্ষে না। আমরা আইনের মাধ্যমে এমনভাবে বিচার করতে চাই, যাতে কখনও কেউ বলতে না পারে ক্যাঙারু কোর্টের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় কনসার্নের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার। আপনারা লক্ষ্য করবেন, আমাদের সংবিধানের পাওয়ার স্ট্রাকচার এমন যে কেউ স্বৈরাচার হতে বাধ্য। আমরা এমন সংস্কার চাই, যাতে সাংবিধানিকভাবে কেউ আর নতুন হাসিনা হতে না পারে।’ চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু, এখনও শিক্ষার্থীদের মাঠে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যা, প্রতিবিপ্লব ঠেকানোর দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের ওপর এসে পড়ছে। অথচ, এখন তাদের রাষ্ট্র গঠনে সভা, সিম্পোজিয়াম-সেমিনার করার কথা। সংস্কার প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত তা দেখানোর কথা।’ বলে রাখা ভাল, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে গেল ২৫ নভেম্বর এক সপ্তাহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (১ ডিসেম্বর) চবিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠনে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রশ্নে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠনে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাব্বী বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কমিটি গঠনের তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।’ ‘কমিটি প্রকাশের পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে তিতুমীর কলেজে এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। কমিটি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কমিটির বিষয়ে আমাদের এই তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হব।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আবদুল হামিদ বলেন, ‘গেল ১৮ নভেম্বর আলোচনায় মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়; যা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা প্রকাশে তালবাহানা শুরু করে।’ ‘এর প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতেই ফের রাস্তায় নেমে আসে। পরবর্তী রাতেই রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমাদের আলোচনা হয় ও তারা এটি নিশ্চিত করেন যে, ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে আমাদের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘১৯ নভেম্বর তারা আমাদের সাথে পুনরায় আলোচনায় বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ আলোচনায় সিদ্ধান্ত আছে যে, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভব্যতা যাচাইয়ে একটি পৃথক কমিটি হবে এবং এই কমিটি গঠনের জন্য সাত দিন সময়ের কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে রাস্তায় আমাদের সব কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আশার আহ্বান করি এবং মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সাত দিন সময় অপেক্ষা করতে বলি। আমরা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সাত দিন ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ নিই।’ ‘কিন্তু সাত দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কমিটি করার বিষয়ে কোন আপডেট আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করি। কিন্তু বার বারই বলা হয়, ‘কমিটি করার প্রক্রিয়া চলমান, অপেক্ষা করুন’।’ অপেক্ষার সেই সাত দিন ইতোমধ্যে পার হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী হামিদ বলেন, ‘সময় শেষ হওয়ার পর তারা শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, কমিটি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু, সেই অনুলিপি এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছাইনি।’ ‘মন্ত্রণালয়ের এমন দোদুল্যমান সিদ্ধান্তে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যথিত। তাদের এমন তালবাহানার কারণেই আমরা বলতে বাধ্য হই, ‘আপনারা এখনো কমিটি প্রকাশ করতে পারলেন না’।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বললেন, ‘অনুলিপি দেওয়া হবে’, কোথায় আপনাদের অনুলিপি? এখনো আপনাদের কমিটির অনুলিপি আমাদের কাছে পৌঁছায়নি কেন? মাননীয় উপদেষ্টা, মহাখালী কতদূর?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে গেল ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হন। তারা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকাজুড়ে চরম যানজট সৃষ্টি হয়। দিনভর অবরোধের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনার কথা বলে বিকাল চারটায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে, আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার কথা জানিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টায় ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পর দিন তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি পালন করেন। সেদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না তা যাচাইয়ে পরের সপ্তাহে কমিটি গঠন করার আশ্বাস দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘কমিটি গঠন হচ্ছে বলে শুনছি। কিন্তু, এখনো এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোন আদেশ হাতে পাইনি।’

বেসরকারি কলেজের এডহক কমিটি হবে ৪ সদস্যের

বেসরকারি কলেজের অ্যাডহক কমিটি চার সদস্য করতে নতুন করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভাপতি থেকে সদস্য সচিব মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। রবিবার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো। একইসঙ্গে গত ১৮ নভেম্বর তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন (প্রতিস্থাপনকৃত) যথারীতি কার্যকর থাকবে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে মহানগরীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, খ্যাতিমান সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি অথবা কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীকে মনোনয়ন দিতে হবে। শিক্ষক প্রতিনিধি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক মনোনয়ন পাবে। অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে জেলা সদরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক এবং উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত একজন অভিভাবক মনোনীত হবে। সদস্যসচিব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান (পদাধিকার বলে) থাকবেন। এর আগে গত ৫ আগস্টের পর দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিবিহীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সেই সমস্যা সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। অ্যাডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়েছিল। বেসরকারি কলেজে অ্যাডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং স্কুলের ক্ষেত্রে স্নাতক পাস হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।

ঢাবিতে নতুন উদ্যমে বিজয় র‌্যালি

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরুর দিনেই বিজয় র‌্যালি বের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন উদ্যমে এবারের ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন করবে দেশের মানুষ।’ বিজয়ের মাসে নানা আয়োজন প্রায় প্রতি বছরই থাকে ঢাবিতে। তবে, এবারের মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ হয়ত দেখা যায়নি বহু দিন। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে এসে বিজয় র‍্যালিতে অংশ নেন প্রায় প্রতিটি হলের ছাত্র-ছাত্রী।রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান। পরে তার নেতৃত্বে র‍্যালিটি স্মৃতি চিরন্তনী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।এবারের বিজয়ের তাৎপর্য অন্যান্য বছরের তুলনায় বহু বেশি উল্লেখ করে সবাইকে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করার আহ্বান জানান নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, ‘নানামুখী বাধা ও ষড়যন্ত্র সব অতিক্রম করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, এবারের বিজয় র‍্যালি ‘৭১ আর ’২৪-কে একই সূত্রে গেঁথেছে। তবে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিপ্লবের চেতনা মাথায় রেখে দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার তাগিদ তাদের।আর জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, ‘এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চব্বিশের বিজয়েরই প্রতিফলন।’বিজয়ের ৫৩ বছরে নতুন করে গড়ে উঠবে সর্বসাধারণের স্বপ্নের বাংলাদেশ- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করবে

গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যে কোন ধরনের সমালোচনা আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে। গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে আরও বেশি গতিশীল করবে। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটির চন্দনপুরায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের অফিসে আরইসরা ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় ও প্রীতিভোজকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সব গণমাধ্যমকর্মী বিপ্লবের মূল চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। চাকরি বা কোন হাউজের দায়ে নয়, বিবেকের দায়ে কাজ করবেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এই দেশ নানা পথ ও মতের মানুষের। তাই, আদর্শিক ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রশ্নে কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। আমারা আমাদের ঐক্যের জায়গাগুলোতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারলে সম্প্রতির এই দেশ সৌহার্দ্যের সৌরভে ভরে উঠবে।’ ইসলামী ছাত্র শিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো যেখানে গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হল বাণিজ্যসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত স্বৈরাশাসনালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর মনে শিবির সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে কিছু চিহ্নিত তথ্য সন্ত্রাসী মিডিয়ার মাধ্যমে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালালেও সোশাল মিডিয়ার কারণে তাদের সেই চক্রন্ত অনেকাংশে বুমেরাং হয়। তারপরেও ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে অনেকের মনে কিছু নেতিবাচক ধারণা জন্মানো অস্বাভাবিক নয়। তাই, দেশের সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত মিডিয়া কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শিবির সম্পর্কে জানুন, শিবিরের সম্পর্কে জানতে পড়ুন তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মুক্তির পয়গাম, এসো আলোর পথে, আমরা কি চাই? কেন চাই? কিভাবে চাই? ইত্যাদি পুস্তিকাসহ সিলেবাসের সাহিত্যগুলো।’পতিত স্বৈরাচার জুলাই বিপ্লবকে বেহাত করতে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করে আসছে জানিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামেও ইতিমধ্যে কয়েক দফা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়ছে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যনারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের তৎপর পরিলক্ষিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতিত স্বৈরচারের আমলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার পরিবেশ সংষ্কারে ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সর্বোত্তমভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে থাকি।’ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল, অর্থ সম্পাদক মুমিনুল হক, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবরার হাসান রিয়াদ ও প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশ উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনের আল্টিমেটাম, আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি ছাত্র অধিকার পরিষদের

সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করাসহ চার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা; প্রিলি পরীক্ষার কাটমার্কস প্রকাশ করাসহ প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইবার নাম্বারপত্র আলাদাভাবে প্রকাশ ও প্রিলির একসেট উত্তর প্রকাশ করা; বিসিএস সর্বোচ্চ এক বছর আর অন্যান্য চাকরিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা; পিএসসি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করার দাবি জানান তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‌‘সরকারের দায়িত্ব বেকারত্ব দূর করা। ক্ষমতায় আসার আগে সব সরকার বেকারত্বের জন্য বহু কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, যখন তারা সরকারে চলে আসে, তখন তারা তাদের সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। গেল ১৯ নভেম্বর সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, চাকরিতে আবেদনের ফি এর বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট চলছে। কেন এত সময় নিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করা প্রয়োজন? এ অ্যাসেসমেন্ট তো বহু আগেই করা হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘অর্ডিন্যান্স জারি করে চাকরিতে আবেদনের ফি যেন ন্যূনতম ২০০ টাকা করা হয়। সামনে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা, ফের ৭০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে চাকরিপ্রত্যাশী। আমরা সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি, যেন অবিলম্বে সরকার যদি তড়িৎগতিতে এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়। যদি এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, প্রয়োজনে আমরা কিন্তু আন্দোলনে যাব।’ পিএসসির চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ ছাত্রনেতা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগের যে স্থবিরতা রয়েছে, সেগুলো যেন অতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠা হয়। এখনও পিএসসিতে আওয়ামী আমলের দোসর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও যেন তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক, সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউজিসির ‘নিষেধাজ্ঞা’র আওতায় পড়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। কারও কারও আবার অনিয়মের কারণে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে তার দায় ইউজিসি নেবে না।ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ -এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা: ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা), সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।

আর নয় সভা-সমাবেশ ও মিছিল; ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষমুখী করেতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংশ্লেষবিহীন নানা ইস্যুতে আয়োজিত সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ এড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করতে কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে নয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংশ্লেষবিহীন বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। ফলে, শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া, এ ধরনের অনাহুত কার্যক্রম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে নানা উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।’ ‘বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষামুখী/শ্রেণিকক্ষমুখী রাখা ও বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কর্তৃক অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণিকার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ’ নির্দেশনায় কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের ৯ দফা নমুনাও দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান; ‘বিজয়ের ৩৬ জুলাই’ ভিত্তিক গ্রাফিতি অঙ্কন। নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি। শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতিকে পুরস্কার প্রদান; ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ ভিত্তিক থিমসং তৈরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশন। সফট অ্যালবাম তৈরি। শ্রেষ্ঠ থিমসংকে পুরস্কার প্রদান; গার্লস স্কুল ও কলেজে পার্সোনাল হাইজিন বিষয়ক প্রশিক্ষণ; জাতীয় দিবস ‘আনুষ্ঠানিক তারুণ্য কুচকাওয়াজ’ (বিএনসিসি-স্কাউট-রোভার সহযোগিতা); ‘জুলাই বিপ্লব- কি, কেন, কীভাবে’ ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের আলোচনা সভা; ‘তরুণ চোখে নৈসর্গ দর্শন’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকটস্থ নান্দনিক স্থান (নদীতীর/ চর/ উপকূল/পাহাড়/টিলা/ফসলি মাঠ দলবদ্ধ ভ্রমণ); দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারুণ্য উৎসব-২৫-কে আনন্দময় করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট/ভলিবল/ফুটবল খেলার আয়োজন এবং তরুণদের উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আগ্রহী করতে জেন-জেড এন্টারপ্রিনিয়ার শীর্ষক বির্তক প্রতিযোগিতা আয়োজন।

সেন্ট গ্রেগরির স্কুল শাখা খুলছে শনিবার, বন্ধ থাকবে কলেজ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে অতর্কিত হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখা শনিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে চালু হচ্ছে। তবে বন্ধ থাকবে কলেজ শাখা। ওই দিন থেকে স্কুলের প্রভাতী ও দিবা শাখার পরীক্ষা সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী চলবে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী শনিবার থেকে সংশোধিত রুটিন অনুসারে প্রভাতী শাখা ও দিবা শাখার (মর্নিং শিফট ও ডে শিফট) বার্ষিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু হবে। কলেজ শাখায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নির্দেশনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৪ নভেম্বর অতর্কিত হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কর্তৃপক্ষ। বিশেষ নির্দেশনা বলা হয়, সব বাবা-মা ও অভিভাবককে অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনার সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্ব নিয়ে তাকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেবেন। পরীক্ষা শেষে সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যাবেন। অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা ও পাশে থাকার জন্য পবিত্র হলি ক্রস সংঘ ও সেন্ট গ্রেগরি পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢুকেও অতর্কিত ভাঙচুর চালানো হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয় তলার শিক্ষকদের একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং ক্যান্টিনে ভাঙচুর ও টাকা লুট করা হয়। হামলা-ভাঙচুরে প্রতিষ্ঠানটির কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় স্কুলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ২৫ ও ২৬ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি স্থগিত করা হয়।

ইসকনকে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না

ইসকনকে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউস। তিনি বলেছেন, ‘ইসকন মানেই সনাতনী নয়, ইসকনকে সনাতনী সংগঠন বলে প্রচার করায় আজ দেশের এই পরিস্থিতি। বাংলাদেশের মাটিতে বসে ইসকনকে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশে আবদুল হান্নান এই হুঁশিয়ারি দেন। এতে আবদুল হান্নান মাসউদ আরো বলেন, ‘ইসকন মানেই সনাতনী নয়, তার প্রমাণ পুরান ঢাকার স্বামীবাগের সনাতনীদের মন্দির দখল করে নিয়েছে ইসকন, সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছে, বিভিন্ন এলাকায় সনাতনীর জমি দখল করে নিয়েছে। আপনারা সব মিডিয়া ইসকনের প্রোগ্রামকে সনাতনীদের প্রোগ্রাম বলে প্রচার করেছেন। আপনারা কী মনে করেন, ইসকন মানেই সনাতনী? তাহলে হাজার হাজার সনাতনী ভাই-বোনেরা যারা ইসকনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে তারা কারা!’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। ইসকনকে সনাতনী সংগঠন হিসেবে প্রচার করার কারণেই আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশেকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত উল্লেখ করে সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর সংখ্যালঘু কার্ড খেলা শুরু করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে একটি ইসলামি বিপ্লব হয়েছে। ভারত সেই দেশের মিডিয়া ও সরকারের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ ছিল- ক্ষমতায় বসার পর বিষয়গুলো সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার করা। দেশে গণতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছে। সরকার এখনও জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি। বিচার শুরু করেনি। গ্রেফতার করলে আজকে চট্টগ্রামে নাসিরের লোকজন ইসকনের সাঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করতে পারত না।’ কেন্দ্রীয় সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘ভারতের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু, একমাত্র বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করে চলছে। ভারতকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গদি বাঁচান; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নাই।” এ সময় অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার, সিনথিয়া জারিন আয়েশা, রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে গাছ লাগানোর নির্দেশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধিক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উন্নয়ন কাজের পরিবেশবান্ধব বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দ্রুত পাহাড় কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে গাছ লাগিয়ে ল্যান্ডস্কেপ রেস্টোরেশন কার্যক্রম শুরু এবং উন্নয়ন কাজের পরিবেশগত দিকগুলো নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্তৃক গেল ১৫ অক্টোবর প্রেরিত আধাসরকারি পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। সে প্রেক্ষিতে গেল ২৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আহমেদ শিবলী স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টার পাঠানো আধা-সরকারি পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড় মৌজার ১৯৪ দশমিক ১৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই পাহাড় কাটার মত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে। পত্রে বলা হয়, ‘সরকারি প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করে। প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ পাহাড় একবার ধ্বংস হলে তা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। বিশেষত, লালমাই পাহাড় দেশের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ এবং এর ধ্বংস পরিবেশের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাবে বলে পরিবেশ উপদেষ্টা আশা করেন।

ববির প্রক্টরের পদত্যাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নবনিযুক্ত ট্রেজারের যোগদান বাধাগ্রস্থ হওয়ার মাঝেই প্রক্টর তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে একটি পদত্যাগ পত্র বুধবার কর্মদিবসের প্রথমার্ধে জমা দিয়েছেন। তবে উপাচার্য ঢাকায় থাকায় এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও নিজ থেকে পদত্যাগের আবেদন দিলে এক্ষেত্রে তেমন কিছুই করার থাকে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পদত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সালকে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে তার পদত্যাগপত্রে তিনি সম্প্রতি সময়ে তার পায়ের আঙ্গুলে একটি অস্ত্রপচার করার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। যদিও ক্যাম্পাস সূত্রে জানাগেছে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক।

আইনজীবী খুনের প্রতিবাদে চবি শিক্ষক ঐক্যের মানববন্ধন

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মানববন্ধন করেছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন করেন শিক্ষক ঐক্য। এ সময় তারা আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি করেন ও বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, ‘বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। সরকারের নরম নীতির কারণে কিছু মহল বার বার ষড়যন্ত্র করছে। একজন আইনজীবীকে কেন কুপিয়ে হত্যা করা হবে! দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সরকারকে আহ্বান করছি।’ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু দাবি করে। অথচ তারা মসজিদ ভাঙল, বাংলাদেশের পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা লাগিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ দেশদ্রোহীতার শামিল।’ দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জানান, এক পা ভারতে রেখে আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারেন না। আপনাদেরও তো দেশের প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে। আপনারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তা আমরা কোনভাবেই মেনে নেব না।’