
মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত হার ছাড়িয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি পৃথক মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক রুহুল আমিন, মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী ও এমডি শাহানা ফেরদৌস, সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিক শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ইমপেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি মো. বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন ও পরিচালক শামেসের আহমেদ।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়াগামী ৩ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮,৯৯০ টাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া বিএমইটি ও বায়রা’র নিবন্ধন শর্ত লঙ্ঘন করে তারা অবৈধভাবে শ্রমিক নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়েছেন।
তারা কর্মীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করে তা আত্মসাত করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি)/১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫(ক)/৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।