আইএমএফ বোর্ডে দুই কিস্তি অনুমোদন, ১৩৩ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ


rashed14 (1).png

অনেক দর কষাকষির পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তি মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার একসঙ্গে পাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে এই অর্থ অনুমোদন করেছে বলে সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ দুই কিস্তির টাকা হাতে পাবে বলে আভাস মিলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কথায়।

 

আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সাল থেকে কয়েক দফা আলোচনা শেষে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ।

ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে বছর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার হাতে পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া যায় দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। ওই তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার বাংলাদেশের হাতে আসে।

 

কিন্তু মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, বিদেশি মুদ্রার নিট সঞ্চিতি বা রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও রাজস্ব আহরণ নিয়ে শর্ত পূরণ না হওয়ায় ঋণের চতুর্থ কিস্তি আটকে দেয় আইএমএফ। অথচ চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।

আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি এবং পরে মার্চে বোর্ড সভার কথা বলা হয়। কিন্তু মার্চের সভায় বাংলাদেশের ঋণ কর্মসূচি বিষয়টি পর্ষদে ওঠেনি।

এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে। দুই সপ্তাহের সফর শেষে আইএমএফ তখন জানায়নি বাংলাদেশ কিস্তি পাচ্ছে কি না।

 

শর্তের বিষয়গুলো নিয়ে এপ্রিলের শেষভাগে ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে আরো আলোচনা হয়। তবে তখনও জটিলতা কাটেনি। মুদ্রা বিনিময়ের হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে দর-কষাকষি চলতে থাকে।

এরপর মে মাসের শুরুর দিকে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব বৈঠকে অংশ নেন।

ধারাবাহিক বৈঠকের পর বিনিময় হার পুরোটা বাজারমুখী করতে রাজি হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ঋণ আলোচনায় অগ্রগতি হয়। গত ১৪ মে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে আইএমএফ।

সেদিন ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, দুই পক্ষের সমঝোতা হয়েছে। ঋণের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করা হবে জুনে।

এর এক মাস ১০ দিন পর আইএমএফ এর বোর্ড সভায় দুই কিস্তি অনুমোদন পেল। আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি’ হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×