
বরিশালে এক সাংবাদিককে অফিসে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মেট্রোপলিটন পুলিশের আমানতগঞ্জ ফাঁড়ির কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম। তিনি জানান, নাভিদকে আমানতগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়েছে। যদিও আহত সাংবাদিক এখনও লিখিত অভিযোগ দেননি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার সুশান্ত সরকার বলেন, কনস্টেবল নাভিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
এদিকে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফার ল্যাপটপসহ উদ্ধার করা সরঞ্জাম ফেরত দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার এএসআই সাঈদ। উল্লেখ্য, মাদকচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত কনস্টেবল নাভিদের পক্ষ হয়ে তিনি ফিরোজের মালামাল নিয়ে গিয়েছিলেন। বিষয়টি আগের ওসি মিজানুর রহমানকে জানানো হলেও তিনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরঞ্জাম ফেরত দেননি।
গুরুতর আহত ফিরোজ মোস্তফা- এশিয়ান টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান। তিনি জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডে এশিয়ান টিভির অফিসে ঢুকে কনস্টেবল নাভিদ অতর্কিতভাবে হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করে। এরপর বাইরে থেকে অফিসের দরজা আটকে পালিয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ফিরোজ আরও জানান, কয়েক মাস আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নাভিদের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে নাভিদ অফিসে যাতায়াত করত। ফিরোজ অসুস্থ থাকাকালে সুযোগ নিয়ে নাভিদ তালার নকল চাবি তৈরি করে অফিসে অবৈধভাবে প্রবেশ করত। বিষয়টি টের পেয়ে ফিরোজ তাকে সতর্ক করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাভিদ একাধিকবার তার ওপর হামলার চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত হাতুড়িপেটার ঘটনা ঘটায়।
নাভিদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। এখনই আকস্মিক ডোপ টেস্ট করা হলে তার আসক্তির প্রমাণ মিলবে বলেও তারা দাবি করেছেন।