
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধসহ লালদিয়ার চর টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার চুক্তি বাতিলের দাবিতে লাল পতাকা মিছিল করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ে সমাবেশ করে স্কপ নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে আগ্রাবাদ মোড় পর্যন্ত লাল পতাকা মিছিল নিয়ে যায় সংগঠনটি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন স্কপভুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি তপন দত্ত। তিনি বলেন, স্কপ ধারাবাহিকভাবে স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ, গণঅনশন, অবরোধ ও মশাল মিছিলসহ নানামুখী কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে, এবং এসব কর্মসূচির প্রতি জনগণের সমর্থন দিন দিন বাড়ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। তিনি বলেন, “নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দৈনিক আড়াই কোটি টাকা ‘ঘুষ বাণিজ্য’ হয় বলে অভিযোগ করেছেন। গত দেড় বছর আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, এ সময় কীভাবে ঘুষ-দুর্নীতি হয় তার জবাব জনগণকে দিতে হবে। তিনি কোন তথ্যের ভিত্তিতে এ মন্তব্য করেছেন, তা জানা নেই। উপদেষ্টাকে তার ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।”
গত সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেছিলেন যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা অবৈধ চাঁদা আদায় করা হয়। তার বক্তব্যে আরও ছিল- বন্দরের প্রায় প্রতিটি স্থানে চাঁদাবাজি চলছে; ট্রাক ভেতরে ঢুকলে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়, বাইরে গেলেও চাঁদা দিতে হয়।
স্কপের সমাবেশে তপন দত্ত এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। বক্তারা বলেন, বন্দর জনগণের সম্পদ- এটি বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। উপদেষ্টা তার মন্তব্য প্রত্যাহার করবেন, নইলে এর দায় তাঁকেই বহন করতে হবে।
তাদের অভিযোগ, নৌ-উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন এখন দাবি করছেন বন্দরে দৈনিক আড়াইশ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। বক্তারা বলেন, “আপনি দায়িত্বে আছেন, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করবেন- কিন্তু ব্যর্থ। সে ব্যর্থতার দায় আপনার এবং সরকারের। শ্রমিক-কর্মচারীদের ওপর দোষ চাপাবেন না। বন্দরে বর্তমানে নেভি দায়িত্ব পালন করছে, আপনি তাদেরও বদনাম করলেন।”