বিদ্যুৎবিহীন ৬০ হাজার মানুষ, রাতের সঙ্গী কুপি-মোমবাতি


বিদ্যুৎবিহীন ৬০ হাজার মানুষ, রাতের সঙ্গী কুপি-মোমবাতি

স্বাধীনতার অর্ধশতক অতিক্রম করলেও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ এখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া পায়নি। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ প্রতিদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে তাদের রাত কাটে মোমবাতি, কুপি আর হারিকেনের ক্ষীণ আলোয়।

চরের বাসিন্দারা জানান, দিনের আলোতেই সব জরুরি কাজ সেরে নিতে হয়। সন্ধ্যার পর শিশুদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে গৃহস্থালি কার্যক্রম সবই চলে অপ্রতুল আলোতে। অথচ মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরেই বিদ্যুতের ঝলমলে আলোকসজ্জা।

২০১৫ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা সীমিত পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা চালু করেছিল। কিন্তু লোকসানের কারণে ২০২৪ সালের জুনে সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে পুরো এলাকা আবারও অন্ধকারে ডুবে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও জীবিকার মতো মৌলিক ক্ষেত্রগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন এই চরে স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার মানুষ বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×