শ্বশুরকে খুন করে তাঁর ভ্যানগাড়ি বেচে দিলেন জামাতা


শ্বশুরকে খুন করে তাঁর ভ্যানগাড়ি বেচে দিলেন জামাতা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুর হত্যার অভিযোগে কৃষ্ণ বাড়ৈ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাঁকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার কৃষ্ণ বাড়ৈ গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শ্বশুর অখিল হালদার মন্টু আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামনন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা।

আগৈলঝাড়া থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২০ আগস্ট দুপুরে অখিল হালদার দুধ বিক্রি করতে গৈলা বাজারে যান। বিক্রি শেষে রাজিহার বাজারের ওয়াপদা সড়কে ফেরার পথে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ কৌশলে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকায় পরদিন ২১ আগস্ট তাঁর স্ত্রী বিউটি হালদার আগৈলঝাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

ঘটনার পরদিন কৃষ্ণ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায়, অখিল হালদার নিখোঁজ হওয়ার সময় তাঁর ও কৃষ্ণের মোবাইল ফোনের অবস্থান একই স্থানে ছিল। এছাড়া ডাসার থানার পাথুরিয়ারপাড়ের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে কৃষ্ণকে দুধের কলসি ও ভ্যানগাড়ি নিয়ে মাদারীপুরের দিকে যেতে দেখা যায়।

শুক্রবার রাতে কৃষ্ণকে তাঁর নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্বশুরকে একাই গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাঁকে নিয়ে রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের একটি খালের পাশ থেকে কচুরিপানার নিচে থাকা শ্বশুরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। মাদারীপুরে বিক্রি করা ভ্যানগাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, “আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর আগে কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করে আমার মেয়ে। এ বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকে অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল।”

 

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, “সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে জামাতাকে সন্দেহ হয়। তাঁকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে নিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×