রাজশাহীতে একই পরিবারের নিহত ৪ সদস্যের দাফন সম্পন্ন
- রাজশাহী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৩৯ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৫

রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় নিহত একই পরিবারের চার সদস্যের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মা-মেয়ের মরদেহ দাফন করেন মিনারুলের শাশুড়ি, আর মিনারুল ও তার ছেলে মাহিমের মরদেহ দাফন করেন তার বাবা রুস্তম আলী। ফলে মরদেহগুলো দাফন হয় দুই ভিন্ন স্থানে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় পবা উপজেলার বামুনশিকড় গ্রামে দাফন করা হয় মিনারুল ও তার ছেলে মাহিমকে। অন্যদিকে মিনারুলের স্ত্রী মনিরা ও মেয়ে মিথিলার দাফন করা হয় রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে মাগরিবের পর।
এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল চার মরদেহই মিনারুলের গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এবং সেখানে তিনটি কবর খোঁড়াও হয়। চতুর্থ কবর খোঁড়ার প্রস্তুতির সময় খবর আসে যে মা ও মেয়ের মরদেহ শাশুড়ির কাছে যাবে, বাকি দুটি মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বামুনশিকড় এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে এক পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে — একটি হত্যা মামলা করেছেন মিনারুলের শাশুড়ি শিউলি খাতুন এবং অন্যটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন মিনারুলের বাবা রুস্তম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই পৃষ্ঠার একটি চিরকুট, যাতে লেখা ছিল, ‘‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’’
পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ আলী বলেন, ‘‘ছেলের পরিবার চারটি মরদেহই নিতে চেয়েছিল। পরে তিনটি মরদেহ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তিনটি কবরও খোঁড়া হয়। কিন্তু মরদেহ নিয়ে নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত ছেলে ও বাবাকে গ্রামের নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও ছোট মেয়েকে শাশুড়ির কাছে দেওয়া হয়।’’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, “তারা দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দুটি করে মরদেহ দুই পরিবার নিয়ে দাফন করবে। মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। একটি অপমৃত্যু ও অপরটি হত্যা মামলা।”