বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় চায় না জনগণ: নুর

রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, নতুন বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটার মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে নুরুল হক নুর এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি; তবে গত এক বছরে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পাইনি। দেশে এখনও পুরনো ফ্যাসিবাদী রাজনীতি জেঁকে বসেছে এবং আবার মাথা তুলে উঠছে।” তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকেই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের বীজ বোনা হয়েছিল।”

নুরুল হক নুরের ভাষ্য, “গণঅভ্যুত্থানের মূল শক্তি ছিল ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন। নতুন বাংলাদেশে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে তরুণরাই শক্তির কেন্দ্রবিন্দু এবং এই তরুণদের হাতে দেশের নিরাপত্তা রয়েছে।”

পিআর পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, “উচ্চকক্ষে যদি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়, তাহলে প্রায় সব রাজনৈতিক দল উচ্চকক্ষে উপস্থিত থাকবে এবং একটি কার্যকর সংসদ গঠন সম্ভব হবে। এজন্য আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে ও ভবিষ্যতের সংসদে নিম্নকক্ষে না হলেও উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।”

বর্তমানে ৪৮ শতাংশ ভোটার এখনও তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি উল্লেখ করে নুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও বায়তুল মোকাররমের মসজিদের খতিব সবাই একসঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এর পরেও কেউ শিক্ষা না নিলে তাদের জন্য নির্মম ফলাফল অপেক্ষা করছে। দেশের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রয়েছে। ৪৮ শতাংশ মানুষ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তাদের ভোট কার কাছে যাবে। তাই হুমকি-ধামকি দিয়ে কিংবা প্রশাসন ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল করে কেউ এমপি বা মন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করবে—এমন ইতিহাস আর নেই।”

রাজশাহী মহানগর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী রাজিব হোসেন এবং জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের মো. মাসুম।