কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা


February 4 2025/news_1724917299643.webp

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সম্ভব হলে ঢাকায়ও আবাসিকে গ্যাস বন্ধ করে দিতেন বলে জানান তিনি। শুক্রবার সিলেটের গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা এমএসটিই প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আবাসিকের ক্ষেত্রে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো, তাহলে আমি ঢাকাতেও আবাসিকভাবে গ্যাস বন্ধ করে দিতাম। কারণ হচ্ছে যে এটা সবচেয়ে ইন-এফিশিয়েন্ট। কারণ শিল্পকারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ঘাটতি, সেখানে বাসাবাড়িতে এটা অপচয়। এটার যে ইয়ে ব্যয়...গ্যাস যে সরবরাহের ব্যয়...আর এই গ্যাস থেকে যে টাকা পাওয়া যায় তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।’

দেশের যেসব এলাকায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহ করা হবে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ব্যবস্থা করছি। সেটা হচ্ছে যেসব এলাকায় গ্যাস উৎপাদন হয়; সেসব এলাকায় স্বল্প মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দিচ্ছি। প্রাইভেট সিলিন্ডার যে রকম ১ হাজার ৪৫০ টাকা; আর আমরা যে গ্যাস সিলিন্ডার দেব সেগুলো ৮০০ টাকা। এখনই ইমিডিয়েট দেওয়া হবে।’

বাসাবাড়িতে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া সম্ভব না জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একসময় গ্যাসের ব্যবহার ছিল না। তখন বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়েছে। এখন এলপিজি এসে গেছে এবং আমরা এলপিজির দামও কমানোর চেষ্টা করছি। সামনে থেকে কিন্তু বাসাবাড়িতে এলপিজি ও শিল্পকারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হবে।’

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ‘দেশে প্রচুর গ্যাস আমদানি করতে হয়। সেটি কীভাবে কমানো যায়, সেটার চেষ্টা চলছে। একটা সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমছে। সেই তুলনায় আমরা যেটা নতুন অ্যাড করতে পারছি, সেটি বড়জোর ৬০ থেকে ৭০ সিএফটি। এর ফলে ঘাটতি কমাতে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।’

ভোলা অঞ্চলে নতুন কূপ খনন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলমান। আমরা এ জন্য স্পেসিফিক সার্ভে করছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত বেশি ডোমেস্টিক গ্যাস পাওয়া যায়।’ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে আমাদের অ্যাকসেস ক্যাপাসিটি আছে, যা প্রয়োজন নাই তার থেকে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহের কথা বিবেচনা না করে এগুলো করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, যে বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস ব্যবহারে বেশি এফিশিয়েন্ট, সেটাকে আমরা চালানোর চেষ্টা করছি। আমাদের যেহেতু গ্যাস সীমিত, সেটি দিয়ে আমরা চালানোর চেষ্টা করতেছি। আর সব বিদ্যুৎকেন্দ্র তো এক নয়।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×