শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন; অবরুদ্ধ ওসি
- রংপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:২৪ এম, ১২ মে ২০২৫

রংপুরের মিঠাপুকুরে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়েন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি। এসময় প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন তিনি।
রোববার (১১ মে) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাছিমপুর ইউনিয়নে নিজ বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে ফজলু মিয়া (৪৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার (আজ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে হত্যা করে বাড়ির পাশে বালুর স্তুপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখেন।
এরইমধ্যে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে না পেয়ে খুঁজতে বিভিন্ন স্থানে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পান এবং পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং গাছপালা কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে আগুন ও গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন ওসি আবু বকর সিদ্দিক। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ সুপার, ইউএনও, সেনাবাহিনী, সিআইডিসহ বিভিন্ন দফতরের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার করে মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ফজলু মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিঠাপুুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিককে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।