চট্টগ্রামে পুলিশ-ব্যাটারিচালিত রিকশাচালদের সংঘর্ষ, আটক পাঁচ


চট্টগ্রামে পুলিশ-ব্যাটারিচালিত রিকশাচালদের সংঘর্ষ, আটক পাঁচ

চট্টগ্রাম সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন চালকরা। গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যালে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অনেকে। অভিযান চালিয়ে পাঁচ রিকশাচালককে আটক করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামে কয়েক দিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযানে অন্তত তিন হাজার রিকশা জব্দ করা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রিকশা জব্দের পাশাপাশি গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ। প্রতিবাদে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মিছিল নিয়ে রিকশাচালকরা বাহির সিগন্যাল এলাকার সড়ক অবরোধ করেন।

এতে আরাকান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা, পরে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন চালকরা। বিপরীতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়লে, টিকতে না পেরে অলিগলিতে অবস্থান নেন চালকরা। সেখান থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় চালকদের। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অটোরিকশার পাঁচ চালককে আটক করে। এরপর আরও কয়েকটি গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়।

সরেজমিন সংঘর্ষের পর বাহির সিগন্যাল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। সেখানে গাড়ি দাঁড়াতে দিচ্ছেন না তারা। অসংখ্য ইটপাটকেল পড়ে ছিল।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, সকাল থেকে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। কালুরঘাট শিল্প এলাকায় আমদানি-রপ্তানির অনেক যান আটকা পড়ে। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক ছেড়ে দিতে বললে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। 

রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয় বলেন, ‘অভিযানের নামে পুলিশ হয়রানি-নিপীড়ন করছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কথা বলে তারা গরিব রিকশাচালকদের পেটে লাথি মারছে।’

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। অবিলম্বে জব্দ রিকশা ছেড়ে দেওয়া ও অভিযান বন্ধ করতে হবে।’ 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×