রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক


MARCH NAEEM 2ND/rup-hxn.jpg

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রবিনটেক্স নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় বিনা কারণে শ্রমিক ছাঁটাই, বোনাস ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

বুধবার (৯ এপ্রিল) উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের রবিনটেক্স গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাবো এলাকায় রবিনটেক্স নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় ৮-১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়। গত ২৮ মার্চ বিনা নোটিশে ছাঁটাই করা হয় ৬৫ জন শ্রমিককে। এছাড়া কারখানা বন্ধ দেওয়ার আগে শ্রমিকদের ৬৫ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ। এক মাসের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও ২০ দিনের বেতন দিয়েই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কারখানা খোলার দিন শ্রমিকরা মালিকপক্ষকে ছাঁটাইয়ের কারণ, বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা বললে মালিকপক্ষ নানা টালবাহানা শুরু করে। বুধবার সকালে আগের মতোই তাদের দাবি নিয়ে কারখানার ভেতরে অবস্থান করছিলেন শ্রমিকরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিকে পানির বোতল নিক্ষেপ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেন।

এর কিছুক্ষণ পর কারখানার বাইরে এসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। এসময় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, রবিনটেক্স গার্মেন্টস কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তারা হামলা চালান। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, সার্কেল গ) মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শ্রমিকরা এখনো বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×