ইমাম নিয়ে গ্রুপিং: গফরগাঁওয়ে ঈদগাহে সংঘর্ষের আশঙ্কা, ১৪৪ ধারা জারি
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৪৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৫

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠের ইমাম নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুই পক্ষ। এ অবস্থায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) ১৪৪ ধারা জারি করে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন সই করা একটি চিঠি জারি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘লামকাইন ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিদ্যমান। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঈদগাহ এলাকায় সব প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশি অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, আতশবাজি, পটকা, মাইকিং বা শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, পাঁচ ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মুফতি মোহাম্মদ আলী আওয়ামী ওলামা লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিতর্ক থাকায় তাকে ওই মাঠের ইমাম হওয়া নিয়ে আপত্তি জানায় একটি পক্ষ। তবে এ নিয়ে তার অনুসারীরাও তাকে ইমাম হিসেবে রাখতে চেষ্টা চালায়। এতে দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এনএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঈদ হচ্ছে আনন্দের। এদিন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সৃষ্টি হোক, সেটা আমরা কেউই চাই না। ঈদগাহে ইমাম নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি গ্রুপ তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে আশপাশের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবে।’