সিলেটে ব্যাংকের দেয়া ফ্রি ক্যালেন্ডার বিক্রি হয় বন্দরবাজারে; নেপথ্যে কি?
- সিলেট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৫

প্রতিবছরের শুরুতে গ্রাহকদের ফ্রিতে ক্যালেন্ডার উপহার দেয় ব্যাংকগুলো। অনেকেই ঠিকটাক ক্যালেন্ডার উপহার পাননা। তার একটাই কারণ গ্রাহকের তুলনায় ব্যাংকগুলোতে যে ক্যালেন্ডার আসে তার সংখ্যা কম। সিলেটের বন্দরবাজারে এখন হরহামেশাই উপহারের এসব ক্যালেন্ডার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায় হকারদের। যেখানে তারা একটি ক্যালেন্ডার নানা দামে বিক্রি করছেন যেটা সম্পন্ন বেআইনি ।
সরেজমিনে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংকসহ আরো বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ক্যালেন্ডার এভাবেই বিক্রি করছেন হকাররা। তবে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় ক্যালেন্ডার বিক্রির বিষয়ে মুখ খুলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন এসব হকাররা।
সিলেট রুপালী ব্যাংক জিন্দাবাজার শাখা সুত্রে জানা যায়, প্রতিটি শাখায় গ্রাহক থাকেন ৫ হাজারের মতো যার বিপরীতে ক্যালেন্ডার আসে মাত্র ২৫০টি গ্রাহকদের ট্রানজেকশন অনুযায়ী তারা ক্যালেন্ডার উপহার দেন।
তবে ব্যাংকের উপহার দেয়া ক্যালেন্ডারের সংখ্যা যেখানে খুব কম সেখানে কিভাবে সড়কের ফুটপাতে বিক্রি হয় এই ক্যালেন্ডারগুলো যেটা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে।
সুমন আহমদ নামের এক গ্রাহক বলেন, আমি এক মাস আগে ব্যাংকে একটি ক্যালেন্ডার চাই গ্রাহক হিসেবে কিন্তু দু:খের বিষয় নিয়মিত গ্রাহক হওয়া স্বত্তেও আমি ক্যালেন্ডার পাইনি। কিন্তু সড়কের পাশে ঠিকই ওই ব্যাংকের ক্যালেন্ডার বিক্রি হচ্ছে যা দু:খজনক।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক জিন্দাবাজার শাখার এসপিও অঞ্জন দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সবখানেই দেখবেন বিভিন্ন কোম্পানির ক্যালেন্ডার এভাবে বিক্রি হয়। আমরা আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে এগুলো ফ্রিতে বিলিয়ে দেই। তবে কিছু অসাধু চক্র এগুলো বাজারে বিক্রি করে এ বিষয়ে আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমি ঊর্ধ্বতন মহলে জানাবো।’
সিলেট রুপালী জিন্দাবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কামেল আহমেদ চৌধুরী, ‘আমি নিজেও দেখেছি কয়েকটি ব্যাংকের ক্যালেন্ডার করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে বিক্রি হচ্ছে। আসলে আমাদের প্রতিটি শাখায় মাত্র ২৫০টি ক্যালেন্ডার পাঠানো হয় যেখানে গ্রাহক থাকেন ৫ হাজারের বেশি আমরা বাচাই করেই গ্রাহকদের ক্যালেন্ডার উপহার দেই। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে কুচক্রী মহল এগুলো নিয়ে বাণিজ্য করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের ডিজিএম স্যারের সাথে আলাপ করবো।’