ফেনীতে পিকআপে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৬
- ফেনী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:০২ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফেনী সদর উপজেলায় শ্রমিক বোঝাই পিকআপভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৬ জন হলেন ভোলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২), মাকসুদ প্রকাশ সাদ্দাম (২১), আনার উদ্দিনের ছেলে মারুফ, ভোলার মনপুরা থানার নূর হোসেনের ছেলে মনির হোসেন প্রকাশ যোবায়ের, ভোলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার সাবুল শেখের ছেলে নাজমুল শেখ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে চট্টগ্রাম থেকে ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর হাফিজিয়া এলাকায় পিকআপভ্যানটির চাকা পাঞ্চার হলে পিকআপটি দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান সজোরে পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে তা উল্টে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ সময় ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ জন। পুলিশ আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে একজন মারা যান। বাকি আহতরা ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পিকআপভ্যানের আহত যাত্রী ও ভোলার মনপুরা এলাকার মো. সোহাগ বলেন, চট্টগ্রামে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে আমরা ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলাম। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত এবং বাকিরা আহত হন। আমি মাথায় ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।