অবশেষে সাংবাদিক তুরাব হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত
- সিলেট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:২৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ইন্টারনেটবিহীন জুলাই বিপ্লব চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝরে যায় সাংবাদিক এটিএম তুরাবের প্রাণ। সিলেটের এমন ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি সাংবাদিকসহ সব মহল। অবশেষে সাংবাদিক তুরাব হত্যায় জড়িত শেরপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উত্তরের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরকে জেলে থাকা অবস্থায় বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্ত করা হয়। রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন দুটি জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দস্তগীরকে নিয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শেরপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উত্তরের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দন্তগীরের বিরুদ্ধে সিলেট কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের রয়েছে এবং গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে পাঠানো হয়।
সাদেক কাউসার দন্তগীরকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)’-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত হিসেবে ধরা হবে এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এ দিকে, সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি সাদেক কাউসার দস্তগীরকে বরখাস্ত করায় সিলেটের সাংবাদিক মহলে অনেকটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক এহিয়া আহমদ বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী তুরাবের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। গ্রেফতারের পর দন্তগীরের বরখাস্তের খবরে আমরা আনন্দিত। তবে, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সিলেট কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কোটা আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হোন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যূরো চিফ ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব। ওই দিন সাংবাদিক তুরাবের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে স্থানীয় শাহী ঈদগায়ে চিরবিদায় জানানো হয় তাকে।