
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চতুর্থ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। অবরোধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একে একে যোগ দিয়ে চত্বরকে স্লোগানে মুখর করে তোলে। আন্দোলনকারীরা হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা একই সঙ্গে ঘোষণা দেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘শাহবাগ না ইনসাফ, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘এই দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে, টানা তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপের ঘোষণা দেন।
চার দফা দাবিগুলো হলো:
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়ক, পলায়নকারী ও আশ্রয়দাতাসহ খুনি-চক্রের বিচার আগামী ২৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত যদি অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
৪. সিভিল-মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, “এই চারটি দাবি আমাদের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ের মধ্যে এ সব বাস্তবায়ন করতে হবে।”
এদিকে, রোববার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ঢাকা বাদে বিভাগীয় শহরগুলোতে রাত ৮টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।