
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর ঢাকায় গুলি চালানোর ঘটনায় তার বোন মাহফুজা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। মাহফুজা বলেন, “ভারতের র আমার ভাইকে বাঁচতে দেবে না। আমার ভাইয়ের ওপরে যারা গুলি করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।”
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। হাদির বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে শুক্রবার দুপুরে জুলাই আন্দোলনের সমমনা দলগুলো সড়ক অবরোধ করে। এতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা।
বিকাল ৪টার দিকে খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করলে মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধে বরিশাল ও খুলনাগামী দূরপাল্লার বাসসহ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম বায়জিদ ইবনে আকবর ও সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিকাল ৫টার দিকে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলাটি পরিকল্পিত এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এনসিপির ঝালকাঠি জেলা সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, “হামলাকারীদের গ্রেফতার না হলে শনিবার বিকেল ৪টায় ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় পুনরায় সড়ক অবরোধ করা হবে। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়েছে।”
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, “শরিফ ওসমান হাদি ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ঝালকাঠি কলেজ মোড়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে বিকাল ৫টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”