
২০২৫ সালে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় প্রাণ হারানো অভিবাসীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে, জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, প্রতিটি নতুন ট্র্যাজেডির সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।
সবশেষ ঘটনায়, ৮ নভেম্বর লিবিয়ার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত অর্ধশতজনের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে। নৌকাটি ৩ নভেম্বর জুওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং উত্তাল সাগরে উল্টে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায়।
আইওএম জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়াদের তথ্য অনুযায়ী, নৌকাটিতে মোট ৪৯ জন অভিবাসী ও শরণার্থী ছিলেন, যার মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। যাত্রা শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
ছয় দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর মাত্র সাতজন পুরুষ বেঁচে যান। এর মধ্যে সুদানের চার জন, নাইজেরিয়ার দুই জন এবং ক্যামেরুনের একজন রয়েছেন। বাকী ৪২ জন এখনও নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইওএম জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া অভিবাসীদের জরুরি চিকিৎসা, খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলেছে, “সুরমান এবং ল্যাম্পেডুসার কাছে কয়েক সপ্তাহ আগে অন্যান্য মারাত্মক ঘটনার পরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো। এটি মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ক্রমাগত বিপদের মুখোমুখি হওয়ার কথা তুলে ধরে।”
আইওএম আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার, নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন পথ সম্প্রসারণ এবং প্রাণহানি রোধে সুযোগ্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।