
বাংলাদেশের নাগরিক দীপুচন্দ্র দাসের হত্যার বিরুদ্ধে সোমবার ভারতের কলকাতা ও আসামের নানা জেলায় হিন্দুত্ববাদী এবং বাঙালি সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে সোমবার বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরাও।
কলকাতার বিক্ষোভটিতে হিন্দু সাধু-সন্তদের সঙ্গেই হাজির ছিলেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্ক সার্কাস অঞ্চলে বাংলাদেশের উপদূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য সেদিকে এগোতে গেলে মিছিলটিকে আটকিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই সাধুদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীও রাস্তায় বসে পড়েছিলেন।
উপদূতাবাসের সূত্রগুলি জানাচ্ছে যে সোমবার অন্য দুটি সংগঠন দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি তাদের দফতরে জমা পড়লেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এবং কংগ্রেস দলের তরফে কোনও স্মারকলিপি জমা দেয়া হয় নি।
ওই মিছিল থেকে মি. অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি এও বলেছেন যে ২৪শে ডিসেম্বর বিভিন্ন সীমান্তে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ জানাবেন তিনি এবং ২৬ তারিখ আবারও বাংলাদেশ উপদূতাবাসে আসবেন তারা। আবার মঙ্গলবারও কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে কয়েকটি বিক্ষোভ কর্মসূচী রয়েছে।
অন্যদিকে আসামের ৫০টিরও বেশি জায়গায় ওই একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ‘বাঙালি পরিষদ, আসাম’। প্রতিটা কর্মসূচীতেই বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
সংগঠনটির রাজ্য সভাপতি ডাঃ শান্তনু কুমার সান্যাল জানিয়েছেন যে তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যাতে “বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য” আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও বিষয়টিকে তুলে ধরে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী একজন পোশাক শ্রমিককে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে দলবদ্ধ হয়ে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয় গত ১৮ই ডিসেম্বর।
সূত্র: বিবিসি বাংলা