
তিন দফা দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সহ সকল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
কর্মসূচির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ রয়েছে, সবখানেই শিক্ষার্থীরা একযোগে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পুলিশের আগের আচরণ ও বর্তমান আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তারা বলেন, “এই পুলিশ জুলাইয়ের আগের পুলিশ। এই পুলিশের মধ্যে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি। আগের মতোই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘৃণ্য অপকর্ম করেছে পুলিশ।” এর প্রতিবাদেই দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অনুরোধ করেছেন, আন্দোলনের সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের একটি ডেটাবেজ তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে। সেইসঙ্গে আহত শিক্ষার্থীদের নাম, পরিচয় এবং পুলিশের হামলার বিস্তারিত বর্ণনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, পুলিশকে অবশ্যই এই হামলার জবাবদিহি করতে হবে। যদি জবাবদিহি না করে, তাহলে আমরা ধরে নেব এই পুলিশ পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ।”
আন্দোলনকারীরা পুলিশি হামলার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন, যাতে ঘটনা সম্পর্কে জনগণ সঠিকভাবে অবগত হতে পারে।