.png)
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইসিইউতে থাকা হাদিকে দেখতে একে একে উপস্থিত হচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) হাসপাতালে যান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। এরপর ঢাকা মেডিকেলে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। তার আগে ওসমান হাদিকে দেখতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
জুমার নামাজের পর শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা হাদির ওপর গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢামেকে ভর্তি করা হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “হাদির মতো আমাদের জীবনেরও শঙ্কা রয়েছে। আমাদেরকেও মেরে ফেলা হতে পারে। তবে আমরা জীবন দিয়ে লড়াই করে যেতে চাই।”
এর আগেও হাদি বেশ কয়েকবার মৃত্যুঝুঁকির কথা প্রকাশ করেছিলেন। গত নভেম্বরে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি নম্বর থেকে অন্তত ৩০টি হুমকি পাওয়ার দাবি করেন তিনি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, তাকে হত্যা, বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
১৩ নভেম্বর গভীর রাতে দেওয়া আরেক পোস্টে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে হাদি লিখেছিলেন, “গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে, তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে এবং আমাকে হত্যা করবে।”
তিনি আরও লেখেন, “১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়বো না, ইনশাআল্লাহ।”
গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে লিখেন, “যেহেতু ঢাকা-৮ এ আমার পোস্টার-ফেস্টুন কিছুই নাই, তাই আমার এখন ছেঁড়া-ছিঁড়িরও চাপ নাই। দুদকের সামনে থেইকা জুম্মা মোবারক।”
গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে হাদির চিকিৎসা চলছে, আর রাজনৈতিক অঙ্গনে এই হামলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।