
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে, বিজয়নগরে হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর, লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই প্রতিক্রিয়া দেন। ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সভা-তে তিনি বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান বলেন, “গত এক বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে যে আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তারা হতে দেবে না। একটি গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সক্রিয়।”
তিনি ওসমান হাদির ওপর হামলাকে চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করে বলেন, “যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। আজকের এই ঘটনা সেই বাস্তবতার প্রমাণ। সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির আরেক প্রার্থীও লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।”
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী শক্তির সর্বোচ্চ ঐক্যের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সবাইকে ছোট দল, বড় দল নির্বিশেষে- এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি ছড়ানো এড়াতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সবার সজাগ থাকতে হবে।”
হাদির ওপর হামলার তদন্তে বিএনপি প্রশাসনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকার বিষয়েও জানান তিনি। প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নেতাকর্মীদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।
ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশে তারেক বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ সচেতনতা ও প্রস্তুতি দেখাতে হবে।”