
রাজশাহীর বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতা বড় পরিমাণ সার অবৈধভাবে মজুত রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। পুলিশ ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে তার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে উক্ত নেতা পালিয়ে যান।
জব্দকৃত সারের মধ্যে রয়েছে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি এবং ৪৪ বস্তা এমওপি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এসব সার কালোবাজারে বিক্রির জন্য জমা রাখা হয়েছিল। অভিযানের পর বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওয়ারেস আলী (৩৫), যিনি ‘মুরগী বাবু’ নামেও পরিচিত, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং দানগাছি গ্রামের আমজাদ হোসনের ছেলে। স্থানীয়রা তাকে মুরগী ব্যবসার জন্য চেনে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, “বাবু খুরচা সার বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত। তিনি ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে নিজ বাড়িতে এত বড় পরিমাণ সার মজুত রাখা অননুমোদিত এবং অবৈধ।”
পুলিশ জানায়, ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনের কাছে খবর আসে যে, ওয়ারেস আলী বাড়িতে সার মজুত রেখেছেন। এরপর দানগাছি গ্রামের তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সব সার জব্দ করা হয়।
ওয়ারেস আলী দাবি করেছেন, জব্দ করা সব সার বৈধ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও রয়েছে। তিনি বলেন, “ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ না থাকার কারণে বাড়িতে রাখা হয়েছিল।”
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, “সমন্বিত সার নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত রাখা যাবে না। ওয়ারেস আলী নিজ বাড়িতে সার মজুত করেছেন, যা অবৈধ।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার প্রাপ্তির বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। বাড়িতে অবৈধ সার মজুতের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত চলছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”