বিএপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বেগম খালেদা জিয়াকে একজন মহিয়সী নারী উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় জেল খেটেছেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বিগত ১৭ বছর তার প্রতি অমানবিক জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে, তিনি হেঁটে জেলে গিয়েছেন। আর অসুস্থ অবস্থায় জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার কারাগারে রেখেছিল স্বৈরাচার হাসিনা সরকার।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরের পৌর আজিম শাহ বিদ্যালয়ের মাঠে এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পৌর ২নং ওয়ার্ড বিএনপি ও মহিলা দল এ সভার আয়োজন করে।
কারাগারে বেগম জিয়াকে বিষ মেশানো খাবার দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি জানান, হাসিনা তাঁর খাওয়ার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করেছিল। এ কারণেই তিনি এখন এত বেশী অসুস্থ। আমরা তিনাকে দেশ-বিদেশে ডাক্তার দেখিয়েছি, কিন্তু তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ হতে পারেননি। তিনি এখন অনেক বেশি অসুস্থ। তাঁর সুস্থতার জন্য এখন সারাদেশের মানুষ প্রার্থনা করছে। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আরার আমাদের মাঝে ফিরে আসে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সহধর্মিণী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়নে ও দেশের নারীদের উন্নয়নে গ্রামে গ্রামে কাজ করেছেন।
এ্যানি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সকল দেশেই জিয়া পরিবারের সুনাম রয়েছে। মাত্র অল্প কিছু বছর প্রেসিডেন্ট থাকা কালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জন্য অনেক বেশী কাজ করেছে যে, গ্রামে গঞ্জে প্রতিটি স্থানে তিনি ও তাঁর পরিবার অনেক বেশী জনপ্রিয়। সারাবিশ্বে জিয়া পরিবারের সুনাম রয়েছে। তাই এখন বেগম জিয়ার জন্য সকল মানুষ দোয়া করছে। আপনারা গত ১৭ বছর নামাজের বিছানায় তাঁর জন্য দোয়া করেছেন। এখনো করছেন। কেউ নামাজ পড়ে দোয়া করছে, কেউ মানত করছে। যে যার যার অবস্থান থেকে তিনার জন্য দোয়া করছে। তিনি যেন আমাদের মাঝে থাকেন। কারণ তিনি হচ্ছেন আমাদের সাহস, তিনি হচ্ছেন আমাদের মনোবল।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, বিএনপি নেতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।