
সৌদি আরবে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৫ বছর বয়সী প্রবাসী গোলাম মাওলা। তার পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃতক শেরপুরের নকলা উপজেলার গণপদ্দি ইউনিয়নের তহুর উদ্দিনের ছেলে। প্রায় ছয় বছর আগে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে যোগ দেন। দেশে তার স্ত্রী ও ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
গোলাম মাওলার ছোট ভাই আনিসুর রহমান জানান, কিছুদিন আগে তার ভাইয়ের পাসপোর্টের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তিনি ওমরাহ হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। গত ২ নভেম্বর পরিবারের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। সেই সময় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
আনিসুর রহমান বলেন, “সৌদি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তিনি বিমান ভাড়া, পাসপোর্ট, মোবাইল ফোনসহ সব জিনিসপত্র হস্তান্তর করেছেন। খুব দ্রুত বাড়ি ফিরবেন।” কিন্তু সোমবার রাতে পরিবারের কাছে ফোন আসে, এবং অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘তোর ভাইকে নিয়ে যা, সে মারা গেছে।’
পরিবারের সদস্যরা খবরটি অবিশ্বাস্য মনে করেন। অন্য ভাই আওলিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পুলিশের কাছে যাওয়ার পর গোলাম মাওলার মৃত্যু হয়েছে। সৌদি পুলিশ জানিয়েছে, তার মৃত্যু ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাওয়ায় হয়েছে।
নকলা বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী এম এফ ফারুক আহমেদ বলেন, “তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। অসুস্থতার কোনো খবর কখনো শুনিনি। মক্কায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পরও কথা হয়েছে। তখনও তিনি সুস্থ ছিলেন। গোলাম মাওলার অকাল মৃত্যু মানতে পারছি না।”