
নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী ও তার চার বছরের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নে। অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম রিয়াদ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে একই এলাকার প্রবাসী রাশেদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে পরদিন বুধবার (১ অক্টোবর)।
সুমাইয়া আক্তার চরকিংয়ের বাসিন্দা এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. রাশেদের স্ত্রী। তাদের একটি চার বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার সময় সুমাইয়া সঙ্গে করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থও নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম রিয়াদ চরকিং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরবগুলা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলার সৈকত কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী রাশেদের বাবা আবুল খায়ের জানান, “আমার ছেলের বউ স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়েছে। রিয়াদ ছাত্রদল করে, তাই কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। আমি এখন অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছি।”
ঘটনার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করেন, “রিয়াদ প্রায় সময় এলাকার মেয়েদের উত্যক্ত করত। তিনি বলেন, ছাত্রদল করার কারণে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা যেত না। এখন সে যা করেছে, তাতে আমাদের সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।”
স্থানীয় যুবদল নেতারাও ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চরকিং ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, “রিয়াদ ছাত্রদলের রাজনীতি করে। তার সঙ্গে অনেক নেতার ছবি আছে। পাশাপাশি অনেক মিছিল মিটিংয়ের ছবি সে ফেসবুকেও দিয়েছে। সে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তার এমন কর্মকাণ্ড আমাদের বিব্রত ও লজ্জিত করেছে।”
এদিকে, রিয়াদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা জানান, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”