
তুরস্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধাক্কা—ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় মেয়র একরেম ইমামোলুকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথমে তাকে আটক করা হলেও পরে আদালতের নির্দেশে মারমারা কারাগারে পাঠানো হয়।
ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে উত্তাল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে টানা পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছে। আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ইমামোলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোলুও। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এরদোয়ানের সময় ফুরিয়ে এসেছে। এবার তাকে বিদায় নিতে হবে।"
বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই ইমামোলুকে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একজন কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স কঠোর বিবৃতি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, "ইমামোলুকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।" ফ্রান্স মনে করে, বিরোধী মতকে সম্মান না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক টেকসই হবে না।
ইমামোলুর সমর্থকেরা দেশজুড়ে এক প্রতীকী ভোটের আয়োজন করে, যাতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ অংশ নেন। ভোটে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ, ইমামোলুর পক্ষে রায় দেন বলে বিরোধী দল সিএইচপি জানিয়েছে।
জেল থেকেই ইমামোলু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “জনগণ এরদোয়ানকে সাফ বার্তা দিয়েছে—এবার আর নয়।”
২০১৯ সালে ইমামোলু প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন এবং গত বছর পুনর্নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তা এবং সরকারের কঠোর অবস্থান—দুয়ের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তুর্কি রাজনীতি।