
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তিনি আপাতত করছেন না। তিনি বলেন, তিনি চান না যে এই যুদ্ধে আরও বৃদ্ধি ঘটুক।
রোববার (২ নভেম্বর) ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র নেটো জোটের অন্যান্য সদস্য দেশের কাছে টমাহক বিক্রি করতে পারে এবং সেই দেশগুলো থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানোর মতো একটি সম্ভাব্য ব্যবস্থার প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই।
ফ্লোরিডার পাম বিচে ফ্লাইটের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে, ট্রাম্প বলেন, ‘না। মোটেই না।’ তবে তিনি যোগ করেন যে, ‘মন পরিবর্তন করতে পারেন’।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার (১৫৫০ মাইল), যা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির ভিতরে অনেকদূর আঘাত হানতে সক্ষম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছেন, কিন্তু রাশিয়া ইতিমধ্যেই এটি না দেওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে এই টমাহক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। শুক্রবার রুট জানান, বিষয়টি এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউজকে টমাহক সরবরাহের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। তাদের মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অস্ত্রসামগ্রীর উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
তবে এই বিষয়ে অবগত তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর।
সূত্র: রয়টার্স