
রাশিয়া যে কোনো সময় ন্যাটো ভূখণ্ডে সীমিত আকারের হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখে, তবে তা করবে কি না তা পশ্চিমা মিত্রদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক শীর্ষ জার্মান সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এসব কথা জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আলেকজান্ডার সোলফ্র্যাঙ্ক বলেন, 'রাশিয়ার বর্তমান সক্ষমতা এবং যুদ্ধ শক্তির দিকে তাকালে দেখা যাবে, তারা আগামীকাল থেকেই ন্যাটো অঞ্চলের বিরুদ্ধে ছোট আকারের আক্রমণ শুরু করতে পারে।'
জার্মানির যৌথ অপারেশন কমান্ডের প্রধান ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তত্ত্বাবধানকারী সোলফ্র্যাঙ্ক ন্যাটোর সতর্কবার্তার প্রতিধ্বনি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তবে ২০২৯ সালের প্রথম দিকে ৩২ সদস্যের জোটের ওপর বড় আকারের আক্রমণও চালাতে সক্ষম হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্য অস্বীকার করে বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর অভিযান ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর নিজস্ব সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা। বার্লিনের উত্তরে অবস্থিত একটি বিস্তীর্ণ ব্যারাক থেকে কথা বলতে গিয়ে সোলফ্র্যাঙ্ক উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনে বিপর্যয় সত্ত্বেও রাশিয়ার বিমান বাহিনী যথেষ্ট যুদ্ধ শক্তি ধরে রেখেছে এবং তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি এখনো অক্ষত রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, স্থল বাহিনী ক্ষতির সম্মুখীন হলেও রাশিয়া তাদের মোট সৈন্য সংখ্যা ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত প্রধান যুদ্ধট্যাঙ্ক আছে, যা দিয়ে বৃহস্পতিবারই সীমিত আক্রমণ কল্পনা করা যায়।
সোলফ্র্যাঙ্ক বলেন, 'মস্কো ন্যাটো আক্রমণ করতে পারে কি না, তা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে: রাশিয়ার সামরিক শক্তি, সামরিক রেকর্ড এবং নেতৃত্ব।' তিনি বলেন, 'এই তিনটি বিষয় আমাকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয় যে, রাশিয়ার আক্রমণ সম্ভাব্যতার ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে। এটি ঘটবে কি হবে, না তা অনেকাংশে আমাদের নিজস্ব আচরণের ওপর নির্ভর করবে।'