
দেশের একীভূত হওয়া পাঁচটি ব্যাংকের আমানতকারীদের হিসাব নতুন গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক-এ স্থানান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে। আমানতকারীরা তাদের বিদ্যমান চেক বই ব্যবহার করেই টাকা তোলার সুবিধা পাবেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে। এর পর পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। তারা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের চেক বইয়ের মাধ্যমে তোলার সুযোগ পাবেন। অবশিষ্ট আমানত নিরাপদভাবে ব্যাংকে থাকবে।”
এদিকে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার শুরুতে দুই লাখ টাকার বেশি উত্তোলন সম্ভব হবে না। তবে যেসব গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে দুই লাখ টাকার কম রয়েছে, তারা পুরো টাকা একবারে তুলতে পারবেন। দুই লাখ টাকার বেশি থাকা গ্রাহকরা চাইলে প্রতি তিন মাস অন্তর এক লাখ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সী বা জটিল রোগে আক্রান্ত গ্রাহকদের জন্য এই সীমা শিথিল রাখা হয়েছে।
নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সেনাকল্যাণ ভবন, ঢাকা-তে স্থাপিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা, এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশে একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিসংখ্যানে রয়েছে ৭৫ লাখ আমানতকারী, যাদের জমা রয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। বিপরীতে ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বড় অংশ খেলাপি। এ ব্যাংকগুলোর দেশে মোট ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে।
আরিফ হোসেন খান বলেন, “রাষ্ট্রমালিকানাধীন এই ব্যাংকের মাধ্যমে জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে আমানতকারীদের টাকা তোলার চাহিদা অনেকাংশে কমবে।”