
প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ছাঁটাই ও একই পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ঘটনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছেন ঢাকার একটি আদালত। তলবের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এডিএমডি), প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুম জানান, চাকরিচ্যুত দুই কর্মকর্তা—রাঙামাটি শাখার সাবেক কর্মকর্তা এস এম এমদাদ হোসেন এবং চট্টগ্রামের হালিশহর শাখার জুনিয়র অফিসার মো. আরফান উল্লাহ—একটি রেকর্ড ডিক্লারেশন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত গতকাল সমন জারি করেন।
এই সমন জারি করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার ও ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) পদে আগামী ১ নভেম্বরের নিয়োগ পরীক্ষার ঠিক দুই দিন আগে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক প্রায় পাঁচ হাজার স্থায়ী কর্মীকে ‘শ্রম আইন লঙ্ঘন করে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে’ চাকরিচ্যুত করেছে। বাদীরা অভিযোগ করেছেন, এই ছাঁটাই ছিল স্বেচ্ছাচারী এবং ব্যাংকের আইনি ক্ষমতার বাইরে।
তারা আদালতের কাছে এই বরখাস্তকে অবৈধ ঘোষণা, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত এবং চাকরিচ্যুত কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতন-ভাতাসহ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়েছেন।
এছাড়া বাদীরা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেন ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়, যতদিন না বরখাস্তের আইনি বৈধতা নির্ধারিত হয়।
অ্যাডভোকেট মাসুম জানান, “আদালত ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে হাজির হয়ে গণবরখাস্ত ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “তলব করা কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে নোটিশ পৌঁছেছে এবং তারা সেটি গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।”