
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন জিয়াউদ্দিন হায়দার
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে একজনকে মনোনীত করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ড. জিয়াউদ্দীন হায়দারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনার আমল থেকেই নারীরা নির্যাতিত হয়েছিলেন। এখন তো ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেই, তাহলে কারা এই হিংস্রতার সঙ্গে জড়িত। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তা জানতে চাই। সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশব্যাপী খুন ও ধর্ষণ বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসন ঠিক থাকলে দেশে এমন বিশৃঙ্খলা হতো না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে করলে এমনটি হতো না। তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ে আছিয়ার ধর্ষণকারীদের বিচার করতে হবে, যেন অন্য অপরাধীদের হৃৎকম্পন হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আছিয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। রিজভী আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে তাদের কাজ তদারকি করছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। অথচ তাদের থাকার কথা ক্লাসে ও লাইব্রেরিতে। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই তাদের উচিত ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে ধর্ষণকারীদের পুরস্কৃত করা হতো। আর বিএনপির সময়ে ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন বাড়ছে। তিনি মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের জনসম্মুখে বিচারের দাবি জানান। ধর্ষিতা শিশুটির বোনের শাশুড়িরও ফাঁসি দাবি করে মহিলা দলের সভানেত্রী বলেন, ১৮০ দিনে নয়, এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আর্নি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা প্রমুখ। মিছিলে ধর্ষক ও নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

আজ সারা দেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন
দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আজ সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রোববার (০৯ মার্চ) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বার্তায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিতে সব নেতাকর্মীদের উপস্থিত থেকে কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে: আহমদ আবদুল কাইয়ূম
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ সব পাওনা বুঝিয়ে দিতে মালিক পক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন অজুহাতে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বোনাস না দিয়ে কোন কোন মালিক পক্ষ ঈদের আগে নিখোঁজ হয়ে যান, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। শ্রমিক অবহেলা করে বা ঠকিয়ে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’ রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ খানা বাসমতি রেস্টুরেন্টে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শপথ অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলে আবদুল কাইয়ূম এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা শাহজামাল, মো. শাহাদাত হোসেন, মাওলানা মুয়াবিয়া, ইমাম হোসেন ভুইয়া, মু. শামসুল ইসলাম মোল্লা। ইফতার দোয়া পূর্ব পরিচালনা করেন দীনি সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল খন্দকার গোলাম মাওলা। এর আগে নবগঠিত কমিটির শপথবাক্য পাঠ করান মাওলানা খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফিলে আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরো বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কুরআন নাজিলের মাসে কুরআনের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প নেই।’ মাহফিলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সব ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। খুন-ধর্ষণ অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় কঠোরহস্তে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হবে। অপরাধ দমন করতে না পারলে দেশ ভয়াবহ পরিস্তিতির দিকে অগ্রসর হবে। শিশু ধর্ষকের শাস্তি দ্রুত ও প্রকাশ্যে হলে এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু আইনের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মাগুরায় আরো একটা শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হল।’

শিবিরের সভাপতির স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের প্রশংসা
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক কর্মসূচি নিয়ে সংগঠনটির প্রশংসা করেছেন। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সব ছাত্রসংগঠন শিক্ষা, সেবা ও ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করবে, এমনটাই আশা করেন শিবির সভাপতি। শনিবার (৮ মার্চ) রাতে ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন জাহিদুল ইসলাম। স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের একটি ফটোকার্ডও যুক্ত করেন তিনি। এতে জানানো হয়, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হিফজুল কোরআন ও কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আগামী ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট। স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম লেখেন, ‘মাশাআল্লাহ। বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ভালো কাজের প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত হয়েছে। আল্লাহ কবুল করুন। আশা করি, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সব ছাত্রসংগঠন শিক্ষা, সেবা ও ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করবে। অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।’

নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে সারাদেশে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা
দেশব্যাপী নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রোববার (৯ মার্চ) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আগামী সোমবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বার্তায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিতে সব নেতাকর্মীদের উপস্থিত থেকে কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চান জামায়াত আমির
মাগুরায় আট বছরের শিশুর ধর্ষণকারী ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। রোববার (৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এরকম ধর্ষক নামের আরও যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, যে যেখানেই থাকুক তাদের পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মসজিদের ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চানাচ্ছি। এসময় তিনি ধর্ষণকারীদের ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

বাধার মুখে জাপার ইফতার মাহফিল পণ্ড, ফিরে গেলেন জি এম কাদের
রাজধানীতে বাধার মুখে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার মাহফিল পণ্ড হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৮ মার্চ) পল্লবীর দুই নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে এ ইফতার মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের। পরে বাধার খবর পেয়ে তিনি মাঝপথ থেকে ফিরে যান। দলটির অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে একদল যুবক পল্লবীর দুই নম্বর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। জাপাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ইফতার মাহফিল বন্ধের দাবি জানায় তারা। জাপার দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, ‘প্রথমে পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এর পর ২০-২৫ জন ছেলে এসে অশালীন স্লোগান দিয়ে ইফতার মাহফিলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। নেতাকর্মীকে গালমন্দ দিয়ে সেন্টার থেকে বের করে দেয়।’ কমিউনিটি সেন্টারে যখন হট্টগোল চলছিল, তখন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের পথে ছিলেন। খবর শুনে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা মাঠে ছিলাম। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে জাতীয় পার্টির দুই নেতা শহীদ হয়েছেন। অনেকেই মামলা ও হামলার শিকার হয়ে কারাবাস করেছেন। এ ছাড়া বিগত সরকারের সব দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম। অথচ বর্তমান সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায় জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ যেন আর কখনো পথ হারিয়ে না ফেলে সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। জামায়াত সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে জোরালো মতামত ব্যক্ত করেছি। বিশ্বাস করি, এই ব্যবস্থায় জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে। ফ্যাসিবাদী শাসন পুনরায় ফিরে আসার পথও রুদ্ধ হবে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টিতে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিও তুলেছি। আশা করি, সরকার আমাদের এ আহ্বানে সাড়া দেবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। জামায়াত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। জামায়াত আমির বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ইফতার পার্টি আয়োজন করতে দেয়নি। এমনকি অনুষ্ঠানের জন্য ভেন্যু বুকিং ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের বাঁধার কারণে সেইসব আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে। ইফতার পার্টিতে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপি, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়ো ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গিরি গোরিওভিস কোজিন, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার সুসান রেলি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল মিলার, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রমিস সেনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। ছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন, আইআরআই এবং এনডিপির প্রতিনিধিরা। নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

নারীদের প্রতি সহিংসতা বাড়ছে, কঠোর হাতে দমন করতে হবে: সালাউদ্দিন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা-নিপীড়ন যে পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। আমরা নিন্দা জানাই। এটি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ছাত্রদল। সালাউদ্দিন আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন যেভাবে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, তা আমরা রোধ করতে না পারলে তাহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন। এখানে পতিত ফ্যাসিবাদীদের কোনো চক্রান্ত আছে কিনা, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না। নারীদের ব্যাপারে বিএনপির সংস্কার দফার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে নারীদের বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা নারীসহ সমাজের অন্যান্য অংশের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, নারীদের ক্ষমতায়ন হবে সাংবিধানিকভাবে, সংসদীয়ভাবে এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করি, আমরা সংসদে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসদীয় নারীর ক্ষমতায়নে আমরা ভূমিকা রাখব। আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক যেসব দিক আছে, যেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে। এখানে কোনো বৈষম্যের স্বীকৃতি আমরা দেব না। অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, যারা অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। সেই হিসেবে তাদের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে দেওয়া হয়েছে। নারীরা সবসময় আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এগিয়ে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে নারীরা সম্মুখ সারিতে ছিল। আমাদের অর্জিত বিজয়ে নারীদের সিংহভাগ ছিল বলেই আমরা মনে করি। নিজ দলের বৈষম্যের শিকার মন্তব্য করে বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, যেসব ছাত্রনেতা আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে, আজ তারা বড় বড় পর্যায়ে আছে। নব্বইয়ের গণআন্দোলনে ছাত্রদের মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু এরশাদের সময়ে কারফিউ ভেঙ্গে যে মিছিল হয়েছিল, সে মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে আমি নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আমরাও দলে বৈষম্যের শিকার। শিরিন সুলতানা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী দ্বারা একজন নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ৮ বছরের একটি ছোট্ট শিশুকে মাগুরায় নির্যাতন করে আজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কাতরাচ্ছেন। পত্রিকা খুললেই নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, নিপীড়নের ঘটনা আমরা দেখি। তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মতো রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নারীদের মূল্যায়ন করা। নারীরা মূল্যায়িত হলে সমাজের সর্বস্তরে তারা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নারীরা নিরাপদ থাকবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ। আলোচনা সভায় ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজাতুল কুবরা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ নাফিসা হোসেন মারয়ার মামা হযরত আলী বক্তব্য রাখেন। সভার পাশাপাশি নারী দিবস উপলক্ষে বইমেলা এবং উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে ছাত্রদল।

আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষ মা, স্ত্রী ও কন্যা: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিনজনই নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষ হলেন আমার মা, স্ত্রী এবং কন্যা… তিনজন অসাধারণ নারী। আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সম্ভাবনা, সাফল্য এবং সুখ নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেই একই অনুভূতি লালন করেন।’ এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তারেক রহমান। সঙ্গে নেন স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ের জায়মা রহমানকে। দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতনের শিকার হন তার মা বেগম খালেদা জিয়াও। সুচিকিৎসা না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনিও লন্ডনে যান এবং বর্তমানে ছেলের বাসায় আছেন। পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের তরুণী এবং নারীরা চারপাশের মানুষের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত এবং সমর্থন পাওয়ার অধিকার রাখেন। প্রতিটি নারীরই যেকোনো পুরুষের মতো একই মর্যাদা, সুরক্ষা এবং সুযোগ উপভোগ করা উচিত।’ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি আবারও নিশ্চিত করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের মতো আমরা একটি ন্যায়সংগত, সহনশীল এবং সম্মানজনক সমাজ তৈরির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব। যেখানে লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য থাকবে না। নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, আমাদের মেয়েদেরও আমাদের ছেলেদের মতো সমান সুযোগ থাকা উচিত। তাদের ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে হবে, তারা যেন কোনো হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে এবং কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারে। তারেক রহমান পোস্টে উল্লেখ করেন, একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত সমাজে নারীর সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যেই বিএনপির নীতি প্রণয়ন গভীরভাবে প্রোথিত। আমাদের ‘পরিবার কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষিত করার জন্য শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

আধুনিক উন্নয়নের পথে জঙ্গিবাদ যেন বাধা না হয়: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের আধুনিক উন্নয়নের পথে জঙ্গিবাদ বা কোনো ধরনের অশুভ শক্তি যেন বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’ শনিবার ৮ মার্চ সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটির নয়া পল্টনে নারী দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির আরো বলেন, ‘আইনগতভাবে কোনো সংগঠন যেন কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে দিকে সরকারের নজর রাখতে হবে।’ বিএনপি নারীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এমন মন্তব্য করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। সব সেক্টরে নারীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটাতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ, তারা কীভাবে মিছিল করে এটি সরকারকে দেখতে হবে। জঙ্গিবাদ যাতে অগ্রগতির পথে মাথাচাড়া না দিতে পারে, সেদিকে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।’

মায়ের সাথে কথা বলে সেই শিশুর খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
মাগুরার নির্যাতিত সেই শিশুর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় ওই শিশুর বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। শনিবার (৮ মার্চ) সেই শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। এ সময় শিশুটির মাকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরনের সহযোগিতার কথা বলেন। ফোনালাপে তারেক রহমান বলেন, ‘মাগুরায় বিএনপির যত নেতাকর্মী আছেন, তারা সবাই শিশুটির পাশে থাকবেন।’ ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করব। শিশুটির সঙ্গে যারা অন্যায় করেছে তারা যেন আইন অনুযায়ী শাস্তি পায়।’ এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘শিশুটির চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করব, আমাদের দলের অবস্থান থেকে।’ শিশুটির মা তার মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন তারেক রহমানের কাছে। এটা শুনে তিনি আবারও বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব শিশুটি যাতে ন্যায়বিচার পায়।’ পরে দলের নেতারা সব সময় পাশে থাকবে বলে আবারও আশ্বস্ত করেন তারেক রহমান। সবশেষে তিনি শিশুটির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এর আগে, শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে।’ আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলার আঘাত গুরুতর। শিশুটির চিকিৎসায় গাইনি ও অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়নি: উমামা ফাতেমা
কোটা সংস্কার পরবর্তী শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হয়নি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। তাই বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইলো।’ এর আগে, শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয়টা এখন আর এক্সিস্ট করে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, এই পরিচয়ে ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাহলে তারা যেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।’

চরমোনাই পীরের ইফতারে জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা
রাজনীতিক কূটনৈতিকসহ নাগরিক সমাজের সম্মানে চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি। তা না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন দাবি করছি। এতে কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হবে। নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক চাই না। সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন করতে হবে। ইফতারে খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ অংশ নেন। আরও ছিলেন সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, চিন, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের দীর্ঘ বিরোধ থাকলেও গত ২১ জানুয়ারি বরিশাল গিয়ে রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন শফিকুর রহমান। দুই নেতা সেদিন জানিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার প্রচেষ্টা চলছে। গত ২৬ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে ১০ দফায় সই করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বসুন্ধরায় হামলার দায় পুরো ছাত্রদলকে দিচ্ছি না: সারজিস আলম
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজের ওপর হওয়া হামলার দায় পুরো ছাত্রদলকে দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, পুরো ছাত্রদল হামলা করেছে, এটা কিন্তু আমি কোথাও বলিনি। বরং এটা বলা হয়েছে যে, ছাত্রদলের একদম সেন্ট্রাল পোস্টেড আহমেদ শাকিল ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আপনারা যে ভিডিওটা দেখেছেন সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, এবং সেটা আমি চলে আসার পর। এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) বলেন, সেখানে চারটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিল। ছাত্রদলের পোস্টেড নেতা শাকিলের সঙ্গে যারা ছিল, তারা কেউ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। তারা স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী। ‘ফলে ছাত্রদলের উচিত শাকিলের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায়, তাদের যে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন দলের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই এবং দলের ভেতর যে শৃঙ্খলার অভাব, সেটি প্রকাশ পায়।’ সারজিস আরও বলেন, আমার স্পষ্ট অবস্থান, হামলার দায় কখনও পুরো বাংলাদেশ ছাত্রদলের ওপর না, বরং ব্যক্তি শাকিল, যিনি ছাত্রদলের পোস্টেড তার ওপর। ফলে ছাত্রদলের উচিত, সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি: নাহিদ ইসলাম
রয়টার্সে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি, পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন; তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইনকেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে। নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে। নবগঠিত দলের আহ্বায়ক বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, আজকের সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সেসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে নারী নিপীড়নকারীদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই ও আগস্টের সব অংশীজনদের নিয়ে আগামী ১০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে। সারা দেশের সব অংশীজনরা তাতে অংশ নেবেন। পরদিন ১১ মার্চ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি, পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

সারজিসের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল ছাত্রদল
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলম কর্তৃক ছাত্রদলের ওপর দোষ চাপানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার পরে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির এক নেতার সঙ্গে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সেখানে ছাত্রদলের নাম জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, তা নিয়েই আজকের সংবাদ সম্মেলন।’ সংবাদ সম্মেলনে নাছির বলেন, ‘দেশের যে কোনো জায়গায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নাম জড়ানোর একটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রবণতা লক্ষ্য করছি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃত বৃত্তান্ত এই যে, বুধবার রাত ১০টার পরে সারজিস আলম তার কর্মীসমর্থকদের নিয়ে বসুন্ধরা এলাকার ঘাটপাড় থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেটের দিকে আসেন। এ সময়ে সেখানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আড্ডারত ছিলেন। গেটের সামনে সারজিস আলমের উপস্থিতি দেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সারজিস আলমকে উদ্দেশ করে ‘ঢাবি’র সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেন।’ উল্লেখ্য, নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগে উক্ত ছাত্রসংগঠনটির কিছু ক্ষমতাশালী নেতা আত্মপ্রকাশের দিনেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষে জড়ায়। জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথা দেশের সব রাজনীতি সচেতন মানুষের অবগত। আগের রেষারেষির জের ধরেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সারজিস আলম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এ সময়ে সারজিস আলমের সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সারজিস আলমের সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরোধের সূত্রপাত নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যকার ঢাবি বনাম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সারজিস আলম এ ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।’ ‘সারজিস আলম তার পোস্টে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী টোকাই’ উল্লেখ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। আমরা তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’ ‘সারজিস আলমের বক্তব্যে জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সারজিস আলমের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো বিরোধ হয়নি। উল্টো সারজিস আলমের শোডাউনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই আগস্টের গণহত্যার আসামিদেরকে দেখা গেছে। এভাবেই জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের ছাত্রসংগঠনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন হচ্ছে। আমরা নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের নিন্দা জানাই।’ ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারজিস আলমের বিরোধের মধ্যে কোনো ছাত্রদল নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কিনা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ চলছে। যদি ছাত্রদলের কারও কোনো ন্যুনতম সংশ্লিষ্টতা থেকে থাকে, তাহলে আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় ছাত্রদলের ওপর চাপানোর কৌশলের বিরুদ্ধে আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে আজ শুক্রবার বিকেলে ৩টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের কথা জানায়। ওই সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিষয়াবলি নিয়ে কথা বলা হবে বলে জানায় ছাত্রদল।

‘ছাত্রদলের টাকার উৎস কী?’
ছাত্রদলের টাকার উৎস জানতে চেয়েছেন জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ওই পোস্টে রিয়াজুল লিখেছেন, ‘ছাত্রদলের টাকার উৎস কী?’ অনেকের ধারণা, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে পাল্টা এ প্রশ্ন রেখেছেন জবি শিবিরের এ নেতা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমারা গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি, তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কিভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে? এটা আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী হেনস্তার প্রবণতা বিপজ্জনক: ফখরুল ইসলাম
রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি এবং হেনস্তা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।’ ফখরুল ইসলা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরো উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাস্তাঘাট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক।’ ‘এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার।’ তিনি বলেন, ‘নারী-নির্যাতনসহ দেশের সার্বিক নৈরাজ্য পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করছি এবং একইসঙ্গে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ ‘সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সকল নৈরাজ্য পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বছর নির্বাচন সম্ভব নয় আমি ঠিক এভাবে কথাটা বলিনি: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘গতকালের রয়টার্সের ইন্টারভিউ নিয়ে ভুল অনুবাদ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি বলেছি যে, এ বছর নির্বাচন করা সম্ভব নয়, আমি ঠিক এই ভাবে কথাটা বলিনি।’ শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, এখন যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিটা, পুলিশ যে রকম নাজুক অবস্থায় আছে, এ রকম নাজুক অবস্থায় নির্বাচন করাটা অনেক কঠিন হবে। এই পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের নেই। তাদের সক্ষমতা পরীক্ষা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। সে জায়গায় আমরা বলেছি, আমাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনের আগে পুলিশিং যে ব্যবস্থা আছে, আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি আছে সেটা অবশ্যই উন্নত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সেটার জন্য সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো, বিভিন্ন সামাজিক শক্তি যারা রয়েছে তাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। সহযোগিতা করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আর্থিক বিষয়ে বলেছিলাম সমাজের যেসব স্বচ্ছল ব্যক্তি, সদস্য রয়েছেন তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। এই ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন এবং ইলেকশনের ফান্ডিং রেইস করবো।’ নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজ প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা, ইভটিজিং, ধর্ষণের মতে ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এনসিপির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, জনপরিসরে যেন নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেজন্য সরকার যেন কঠোর পদক্ষেপ নেয়। অভিযুক্তদের দ্রুত যেন যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হয়।’

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ধনীরা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের দলকে বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করছেন। এছাড়া, ভবিষ্যতে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দলের জন্য তহবিল গঠন করা হবে। এটি নাহিদ ইসলামের প্রথম সাক্ষাৎকার ছিল, যা তিনি রয়টার্সকে দিয়েছেন। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা সাক্ষাৎকারে দলের নতুন অফিস স্থাপন, নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনী সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নাহিদ ইসলাম জানান, ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দলকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন এবং আমরা শিগগিরই একটি নতুন অফিস স্থাপনের জন্য ক্রাউডফান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করছি। এছাড়া, আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি তহবিল গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশিং ব্যবস্থা এমনভাবে রয়েছে, যা দেখে আমি মনে করি না যে, এ বছর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এখনও জনগণের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি এবং দেশ এখনো অস্থিতিশীল।’ এদিকে, এনসিপির নেতার মতে, দলটি যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে, ভোটের আগে “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা” নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রনেতাদের মধ্যে ঐকমত্য পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে এবং গত বছর সহিংসতায় নিহত এক হাজার মানুষের স্মরণে প্রণয়ন করা হবে।’

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল
সমসাময়িক বিষয়াবলী নিয়ে শুক্রবার (৭ মার্চ) জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সমসাময়িক বিষয়াবলী নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।