
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এনসিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দলে যোগদান করেন। এ সময় তিনি তরুণদের এই রাজনৈতিক দলে ভেড়ার কারণও তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা ও রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কেন্দ্র করে আবারও সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। সে কারণেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “একজন সংসদে যাওয়ার বদলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের অসংখ্য সংখ্যায় সংসদে যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি অবদান রাখতে পারি, নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি, তাহলে এর থেকে বড় সাফল্য আর কিছু হতে পারে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে হানাহানি ছাড়া এই গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারবে।”
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট নির্বাচনকে দেশের অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বলেন, “সহযোদ্ধাদের নির্বাচিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। একইসঙ্গে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটকে নির্বাচিত করতে এনসিপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ, আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। এনসিপি নির্বাচনি যাত্রায় পুরোপুরি ঢুকে পড়েছে। আসিফ মাহমুদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। বরং এনসিপির মনোনীত প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনে জিতে আসতে পারেন, সে জন্য তিনি কাজ করবেন। তাকে এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
আসন সমঝোতার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম জানান, “আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। একটু বাড়িয়ে সাবমিট করেছি মনোনয়ন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে যে, এনসিপি কয়টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে আসন সমঝোতায়।”
এর আগে আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। নানা জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১২ ডিসেম্বর তিনি নিজেই জানান, কোনো দলের হয়ে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে সব কল্পনা শেষ করে সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দেন।