
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সহজ মনে করা হলেও বাস্তবে তা মোটেও সহজ হবে না- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার দাবি, নির্বাচনের কঠিন বাস্তবচিত্র এখন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিজয়ের মাস উপলক্ষে দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। এতে বিএনপির বিভিন্ন বিভাগের সাংগঠনিক ইউনিটের এক হাজারেরও বেশি নেতা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, “এক বছর, সোয়া বছর আগে যে কথাটি বলেছিলাম যে, সামনের নির্বাচন যা ভাবছেন তা নয়। আজকে আস্তে আস্তে আমার কথাটা প্রমাণিত হচ্ছে। এখনো যদি আমরা সিরিয়াস না হই, সামনে এ দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। এটা একমাত্র বাঁচাতে পারে গণতন্ত্র এবং সেই গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করতে পারেন আপনারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাতে নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। জনগণকে বোঝাতে পারলে তারা বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। তারেক রহমানের ভাষায়, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলীয় সরকার হবে না। যারা বিএনপিকে ভোট দিয়েছে, তাদের পাশাপাশি যারা ভোট দেয়নি তাদের জন্যও কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য কাজ করা যাবে না।”
অন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা বলার দরকার নেই। বাস্তবভিত্তিক যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটা জনগণের কাছে পৌঁছে দিলেই হবে। এই কাজ করা কঠিন। তবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে সেটি করা সম্ভব হবে।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম, কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাদের কথা বলছেন। তারা যদি বলতে পারে, আপনি কেন বলতে পারবেন না? বললে সবাই বলবে, না বললে কেউ বলতে পারবে না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। বললে সবার বলার অধিকার আছে। আর যদি কোথাও নিয়ম হয়ে থাকে, বলবে না। তাহলে সেই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। কোনো বিশেষ কারও জন্য হবে আর কারও জন্য হবে না, এটা তো হতে পারে না।”