নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ জানুয়ারি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:২৫ পিএম, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আরও ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ দিন ঠিক করেছেন।
এর আগে গেল ৬ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদাসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। ওই দিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে চার জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
ওই দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সেন্ট্রাল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দাস, এসএম শামসের জাকারিয়া ও মো. সামসুল হুদা চৌধুরী। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ঢাকা উত্তর সিটির তেজগাঁও থানায় খালেদাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
খালেদা ছাড়াও মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এছাড়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘২০০১-২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন।’
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।