
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল দেশ ছাড়িয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। সেখানে হাদি হত্যা মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, "হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ফয়সালসহ আরও একজন ময়মনসিংহ হয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছে।" ডিএমপি এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।
হাদি হত্যা ঘটনা ঘটে ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা কার্যক্রম শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে থাকা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার। হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর আদালত মামলা সংশোধন করে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।