
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন—এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে হাদির জানাজা ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কাও নেই বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার নামাজ পড়াবেন তার বেড়া ভাই আবু বকর সিদ্দিক। একটি সূত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি আবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেওয়া হবে। সেখানে গোসল সম্পন্নের পর মরদেহটি জানাজার জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হবে।
জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হবে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি অনলাইন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মরদেহটি সোহরাওয়ার্দীতে নেওয়া হয়েছিল।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই হাজারো মানুষ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জড়ো হতে থাকেন। মানিক মিয়া এভিনিউতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি দেয়। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়।