
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি সড়ক দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশবক্স ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা পুলিশ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এই ঘটনায় মামলা করেছে।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল আহমেদ মামলাটি দায়ের করেন। রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. এন. এম. ওয়াসিম ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৮৫ জনসহ মোট ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের ধরার জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সার্কিট মোড় এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা রিফাত ও সোহাগ মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ট্রাফিক পুলিশের থামার সংকেত অমান্য করে তারা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা করেন। এই সময়ে মোটরসাইকেল স্লিপ করে মহাসড়কে ট্রাকের নিচে পড়ে রিফাত ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনিও প্রাণ হারান।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের শান্তিমোড় ও বিশ্বরোডের পুলিশ বক্স এবং পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন জ্বালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়া সোনামসজিদ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা রিফাতের মরদেহ সড়কে পড়ে থাকার কারণে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়। পরে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয় এবং মহাসড়কের যান চলাচল পুনরায় সচল করা হয়।