
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের পর নতুন করে নিয়োগ পেয়েছেন আইন, বিচার ও প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল প্রথমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে উপস্থিত হন তিনি। প্রথম কর্মদিবসেই দেশের বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত আসিফ নজরুল একজন নিবেদিত ক্রীড়াপ্রেমী। বিশেষ করে ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। সভার সময়ও নিজে কয়েকবার ফুটবলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার যখন সরকারের সহযোগিতা চেয়ে ফুটবল উন্নয়ন ও পরিচালনা বিষয়ে বক্তব্য দেন, তখন উপদেষ্টা সোজাসাপ্টা বলেন, শীর্ষ পর্যায়ের একটি ফেডারেশনের কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি আরও পরিপক্ক, গভীর ও বাস্তবধর্মী মতামত আশা করেছিলেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা দেশের ফুটবলকে নতুন দিশা দিতে জেলা পর্যায়ের ১৬ দল নিয়ে একটি ‘সুপার লিগ’ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এই প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হবে। উত্তরে উপদেষ্টা তিন দিনের মধ্যে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়া দেশের একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে এলিট লেভেলে উন্নীত করা তার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। বিকেএসপির সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করাই তার লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যে নিজেই শীঘ্রই বিকেএসপি পরিদর্শনে যাবেন। সফরে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে সঙ্গী হিসেবে চাইবেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্রীড়াব্যবস্থা। দেশের সফল অ্যাথলেটদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন। তিনি বলেছেন, “পার্বত্য অঞ্চলের খেলোয়াড়রা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের বড় সম্পদ। সেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং প্রতিভা বিকাশে বিশেষ প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”