
সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশটি একইসঙ্গে আহত সদস্যদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রতি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে।
শনিবার ১৩ ডিসেম্বর রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতি তার বীর সন্তানদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে সরকার ও দেশের জনগণ আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে সুদানে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী প্রাণ হারান এবং একই ঘটনায় আরও আটজন সেনাসদস্য আহত হন।
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়, আবেই অঞ্চলে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় মোট ১৪ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ছয়জন নিহত এবং আটজন আহত।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আহত শান্তিরক্ষীদের চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।