পাহাড়ের অবস্থা এখন শান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৩২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে এখন শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। সেখানে বড় কোনো সমস্যা নেই। তার দাবি, “কিছু মহল চেয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায় যেন সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন করতে না পারে, কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্টরা খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
এর আগের দিন (সোমবার) তিনি অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিবেশী দেশ এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের প্ররোচনায় পাহাড়ে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। উপদেষ্টা জানান, কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি পাহাড় থেকে গুলি চালিয়েছে এবং এসব অস্ত্র বাইরের দেশ থেকে এসেছে। এ সমস্যার মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে খাগড়াছড়িতে তৃতীয় দিনের মতো ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। শহরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে চলছে তল্লাশি। যদিও জুম্মা ছাত্র-জনতার অবরোধ শিথিল করা হয়েছে, তবুও স্থানীয় ও দূরপাল্লার পরিবহন এখনো চালু হয়নি।
অন্যদিকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া ১ হাজার ৭৬০টি মামলার মধ্যে ৫৫টির চার্জশিট সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এর বাইরে বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন।
আইজিপি বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারা অনুযায়ী এ পর্যন্ত আদালত ১৩৬ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে। আরও ২৩৬ জনকে নিরীহ ও নির্দোষ বিবেচনায় অব্যাহতির আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি জানান, ১,৭৬০ মামলার মধ্যে ৭৬৬টি হত্যা মামলা এবং বাকি ৯৭৪টি অন্যান্য অভিযোগের মামলা। চার্জশিট দেওয়া ৫৫ মামলার মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা, যেখানে ১ হাজার ৯৪১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ৩৭ মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৮৫ জন।
আইজিপি আরও উল্লেখ করেন, হত্যা মামলাগুলো হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, পাবনা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া এবং রাজশাহী মহানগরে। অন্যদিকে অন্যান্য ধারার ৩৭ মামলার স্থান বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নরসিংদী ও বরগুনা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা কেবল এসআই বা ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তারা নয়, বরং সিনিয়র কর্মকর্তারাও নিবিড়ভাবে তদারকি ও তদন্ত করছেন।